করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির ১১তম দিনে আজ সুরক্ষা নামক অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে অ্যাপ উদ্বোধন হলেও তা সব শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য নয় বলে নিশ্চিত করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে অ্যাপের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। যদিও করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে সুরক্ষা অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে নানা জটিলতায় আটকে থাকা সুরক্ষা অ্যাপ অবশেষে উন্মুক্ত হচ্ছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানালেও ভিন্ন কথা জানালেন প্রতিমন্ত্রী।

জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, একটি ওয়েব অ্যাপসের উদ্বোধন হলো যার মাধ্যমে নিবন্ধনের তথ্য সরাসরি তথ্যভাণ্ডারে যুক্ত হবে। এটা তথ্য সংগ্রহ যারা করছে, তাদের কাজ সহজ করার জন্য এ অ্যাপস।

তিনি বলেন, অ্যাপটি মূলত টিকা কার্যক্রম পরিচালনাকারীদের কাজকে সহজ করবে। টিকা ব্যবস্থাপনার জন্যই এ অ্যাপ।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ‘সেরাম থেকে দ্বিতীয় দাপে ২০ লাখ ডোজ আসছে ২২ ফেব্রুয়ারি। মানুষ টিকা নিতে বেশি আগ্রহী।’ ৫০ লাখ ডোজ আসার কথা থাকলেও কেন ২০ লাখ ডোজ আসছে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমের সুন্দর ব্যবস্থাপনায় সবাই সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শীতায় আমরা অল্প সময়ে টিকা পেয়ে সুন্দর ব্যবস্থাপনায় টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। 

পাপন বলেন, আমাদের এতো সুন্দর টিকা ব্যবস্থাপনা দেখে অনেকে বুঝতেই পারছে না এটা বাংলাদেশ। উন্নত দেশগুলো তিন চার মাস আগে থেকেই টিকা কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিয়েও তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি।

তিনি বলেন, সবার আগে সুন্দর ব্যবস্থাপনায় টিকা প্রয়োগের পুরোটাই ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা। তিনি টিকা আসার আগেই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে যে সাহস দেখিয়েছেন, তা একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যার পক্ষেই সম্ভব। এটা সারাবিশ্ব মনে রাখবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন ও স্বাস্থ্য সচিব মো. আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।

টিআই/এসএসএইচ