রপ্তানিতে যে মান দেশেও যেন সে মান থাকে : খাদ্যমন্ত্রী
বিদেশে খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে যে রকম মান বজায় রাখা হয়, দেশের মধ্যেও একই মানের খাদ্যপণ্য বিক্রির অনুরোধ জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিরাপদ খাদ্য দিবস উদযাপন ২০২১ উপলক্ষে বেসরকারি খাতের বিভিন্ন খাদ্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ জানান।
‘টেকসই উন্নয়ন সমৃদ্ধ দেশ, নিরাপদ খাদ্যের বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে আজ জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২১ উদযাপন করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। রাজধানীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বিজ্ঞাপন
মূল অনুষ্ঠান শেষে দুপুর ১টার দিকে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা ও ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন খাদ্যমন্ত্রী। এ সময়ে তিনি বলেন, আমার অনুরোধ আপনারা বিদেশে খাদ্য পণ্য রপ্তানি করতে যত নিয়ম কানুন ও মান ঠিক রাখেন, দেশেও যেন একই মান থাকে। যদিও আজ আপনারা বিষয়টি আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে একই মানের পণ্য আপনারা দেশ বিদেশের জন্যে উৎপাদন করেন। তারপরও আবার অনুরোধ করছি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভুল ধারণা ও অপ্রচার সব সময়ই হয়ে থাকে। আসলে আমাদের মূল বিষয়গুলো জানতে ও বুঝতে হবে। সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, যদি কখনো আপনার দেখেন কেউ অবৈধভাবে খাদ্য পণ্য তৈরি ও বাজারজাত করছে, সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাবেন। ৩৩৩ নম্বরে কল করলেও সমাধান মিলবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সবার পক্ষ থেকেই সচেতনতা ও সহযোগিতা দরকার।
বেসরকারি উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, ভেজাল পণ্য রোধে সব সময়ই কার্যকরি পদক্ষেপ থাকা জরুরি। এছাড়া অনেকেই নকল পণ্য তৈরি করে আমাদের ব্যবসার ক্ষতি করছে। খোলা বাজার নিয়ন্ত্রণেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
তারা বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে বাংলাদেশের আইনের সামঞ্জস্যতা ঠিক আছে কি-না সে বিষয়ে আমাদের পর্যালোচনা করা উচিত। অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আশার পাশাপাশি জবাবদিহিতার বিষয়টাও নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে বিএসটিআই ও ফুড সিকিউরিটি অথরিটির সমন্বয়ও জরুরি।
একে/এমএইচএস