চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাবা জাকির হোসেন ও ছেলে শহিদুল ইসলাম কাজ করতেন সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে। ছেলে শহিদুল ইসলাম দুই বছর ধরে পিয়নের কাজ করছেন সেখানে। রোববার (৫ জুন) সকাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাগ্নে ও বোন জামাইকে খুঁজছেন মামা মো. শাহাজাহান।

সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভাগ্নে শহিদুল ও তার বাবা জাকির হোসেন বিএম ডিপোতে কাজ করত। আগুন লাগার পর থেকে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারিনি। আজ সকাল থেকে খুঁজে দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে বোন জামাই জাকিরকে খুঁজে পেয়েছেন বলে জানান তিনি। বোন জামাইয়ের মুখের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। 

ভাগ্নে শহিদুলের ছবি বিভিন্ন মানুষকে দেখিয়ে সন্ধান চাইছিলেন। তিনি বলেন, দুই বছর আগে বিএম ডিপোতে শহিদুল পিয়নের চাকরি নিয়েছিল। কাল রাতে আগুনের পর থেকে ভাগ্নের কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। জীবিত বা মৃত যেকোনো অবস্থায় তাকে ফেরত চাই। বোন বাড়িতে পাগল প্রায় অবস্থায় আছে।

নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ থেকে ছোট ভাই জুয়েলের খোঁজে চট্টগ্রাম মেডিকেলে এসেছেন মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, তার ভাই বিএম ডিপোতে ক্রেন চালাত। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সারাদিন চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ কয়েকটি হাসপাতাল খুঁজলাম। কিন্তু সন্ধান পাইনি। লাশ দেখে চেনার উপায় নেই।  তাই হাসপাতালের সামনে অপেক্ষা করছি কেউ যদি ভাইয়ের সন্ধান দেন। 

কেএম/জেডএস