চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তিন ফায়ার ফাইটার। এছাড়া আহত ১৫ কর্মীকে সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রোববার (৫ জুন) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার এতথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, অগ্নিদুর্ঘটনায় ১২ জন নিখোঁজ ছিলেন। তাদের মধ্যে মরদেহ পাওয়া গেছে ৯ জনের। এর মধ্যে পরিচয় শনাক্ত করা গেছে ৮ জনের। এক জনের মরদেহ শনাক্তে ফরেনসিক পরীক্ষার শরণাপন্ন হতে হচ্ছে।

পরিচয় মিলেছে যাদের

১. কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রানা মিয়া, তার বাড়ি মানিকগঞ্জে; ২.কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট মনিরুজ্জামান, তার জেলা কুমিল্লা; ৩. কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার আলাউদ্দিন, তার বাড়ি নোয়াখালী; ৪. কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার শাকিল তরফদার; ৫. কুমিরা ফায়ার স্টেশনের লিডার মিঠু দেওয়ান৷ লিডার, তার বাড়ি রাঙামাটি; ৬. সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের লিডার নিপন চাকমা, তার বাড়ি রাঙামাটি; ৭. সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রমজানুল ইসলাম, তার বাড়ি শেরপুরে, ৮. সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, তার বাড়ি ফেনী ও ৯. পরিচয় শনাক্তে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।

নিখোঁজ ফাইটাররা হলেন 

১. কুমিরা ফায়ার স্টেশনের লিডার ইমরান হোসেন মজুমদার, তার বাড়ি চাঁদপুরে; ২. কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার শফিউল ইসলাম, তার বাড়ি সিরাজগঞ্জে; ৩. সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রবিউল ইসলাম, তার বাড়ি নওগাঁয় ও ৪. সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার ফরিদুজ্জামান, তার বাড়ি রংপুরে। তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। পরিচয় শনাক্তে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে।

জেইউ/জেডএস