ছবি ফেসবুক গ্রুপ থেকে নেওয়া

রাজধানীর উত্তরা এবং মিরপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা। শ্রমিকদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ বছর বেতন বৃদ্ধির কথা বলা হলেও তা বাড়ানো হয়নি। 

বেতন বৃদ্ধির দাবি করলে কর্মীদের নানা অজুহাতে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। আগে আরও দু’দিন দাবি আদায়ে একইভাবে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।  

আজ সোমবার সকালে মিরপুর-১৩, ১৪, পুলিশ স্টাফ কলেজের সামনের সড়ক, মিরপুর-২ এবং ১০ নম্বর ও কচুক্ষেত সড়কে অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে ওইসব সড়কে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। তবে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, জুকি, লোডস্টার, সারশ, ভিশন গার্মেন্ট, পলকা, এমবিএম গার্মেন্টসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা এই অবরোধ করে।

লোডস্টার গার্মেন্টের শ্রমিক জানাহারা বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে আমরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবি করছিলাম। যে বেতন পাচ্ছি তাতে ৩ বেলা খাবার জুটছে না। মালিক দিচ্ছি-দেবো বলেও দিচ্ছে না। তাই আমরা রাস্তায় নেমেছি। অন্তত যাতে ৩ বেলা খেতে পারি।

ভিশন গার্মেন্টসের শ্রমিক মনির হোসেন মিন্টু বলেন, আমাদের আশপাশের সব গার্মেন্টসে আমরা খোঁজ নিয়েছি। প্রত্যেক মালিক একইভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েও বেতন বাড়াচ্ছে না। আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে, তাই আমরা রাস্তায় নেমেছি।

বিক্ষোভের কারণে মিরপুর ও এর চারপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মস্থলমুখী মানুষ ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা।

এদিকে মিরপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভের এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টিয়ারসেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।

সোয়া ১১টার দিকে ছত্রভঙ্গ ও টিয়ারসেলের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বর্তমানে সড়ক ফাঁকা। কোনো সড়কে পোশাক শ্রমিকদের অবস্থান বা অবরোধ দেখতে পাচ্ছি না।’

উত্তরায় ইন্ট্রাকো ডিজাইন, ইন্ট্রাকো ফ্যাশন লিমিটেডসহ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিক একই দাবিতে নেমেছিলেন রাস্তায়। কয়েকটি বাসে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় এ বিক্ষোভ থেকে। পরে পুলিশ টিয়ারসেল মেরে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।

বেলা সোয়া ১১টায় উত্তরা পূর্ব থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, সড়ক বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে। কোনো আন্দোলন বা অবরোধ নেই।

এআর/এনএফ