চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো থেকে আরও দুই জনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, আলামত দেখে একজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী বলে মনে হয়েছে। তবে ডিএনএ টেস্টের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। অপর দেহাবশেষ ডিপোর কর্মীর বলে মনে হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (৭ জুন) সীতাকুণ্ড ডিপোর সামনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান। এর মাধ্যমে ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়াল।

আনিসুর রহমান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের নয় জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের তিন জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের  পরিবারের সদস্যরা এসে ডিএনএ দিয়ে গেছেন। ফায়ার সার্ভিসের ১২ জন সিএমএইচে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

তিনি আরও বলেন, ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় জনবল সীমিত করা হয়েছে। এখন দুটি ইউনিট কাজ করছে। মালিকপক্ষকে ক্যামিকেলগুলো রিমুভ করার কথা বলা হয়েছে। তবে কি পরিমাণ কনটেইনার আছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। মালিকপক্ষ ক্যামিকেলের কনটেইনার রিমোভ করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।  

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশে থাকা দমকলকর্মী, শ্রমিক ও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ এ বিস্ফোরণে হতাহত হন।

কেএম/জেডএস