এবার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া প্রান্তে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের দাবি করেছেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

বুধবার (৮ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে ‘প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে’ আনীত সাধারণ প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার একজন বাসিন্দা হিসেবে বলব, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু তৈরি করতে আপনি শেখ হাসিনাই পারবেন। আমি আশা করব আপনি সেই কাজে হাত দেবেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, পদ্মা সেতু সমুদ্র সঙ্গে পাহাড়ি অর্থনীতির সংযোগ স্থাপন করবে। এটি শেখ হাসিনার প্রত্যয় দীপ্ত উচ্চারণ। এটি আমাদের আরও উঁচু করে দিয়েছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা মেনে নিতে হবে জানিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, যাদের কখনো রাজনীতি করতে দেখা যায়নি, কথা মনে হয় স্টেট ডিপার্টমেন্ট তাদের পেছনে আছেন। সাত দিনের মধ্যে তারা সরকার ফেলে দিতে চায়। অর্থাৎ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগেই সব ঘটনা ঘটাতে হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, রাশিয়া, চীন কিংবা আমেরিকা নয়। যেভাবে আমাদের স্বার্থ রক্ষা হবে, সেভাবেই চলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো বৃহৎ শক্তির বিরুদ্ধে শক্ত কথা, অনর্থক তাদের বিরুদ্ধে কটু কথা বা দরকষাকষি করেছেন এই ইতিহাস নেই বলে জানান মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘তিনি অবশ্যই দেশের স্বার্থে দরকষাকষি করছেন এবং করবেন। এটাই হলো তার দেশ প্রেমের অন্যতম প্রধান উপাদান।’

আমেরিকার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আপনারা কী পেয়েছেন? আপনাদের ইচ্ছেমতো শিকার করবেন এখানে? আর গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বার বার ব্যাহত করবেন। বিভিন্ন সামরিক শাসকদের সহায়তা করবেন। বিভিন্ন রাষ্ট্র নায়ককে হত্যা করবেন। শুধু বাংলাদেশ না, সারা পৃথিবী জুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালাবেন। এজন্য বাংলাদেশের মানুষ আত্মসমর্পণ করবে? এই কথা চিন্তা করবেন না, তাহলে বাঙালিকে চিনতে ভুল করেছেন।

আমেরিকার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সারা পৃথিবীতে গণতন্ত্র নিঃশ্বাস নিতে চেয়ে আর্তনাদ করছে বলে জানান মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, আপনারা সেটা শুনতে পান না। এটাই হলো আপনাদের অন্ধত্ব ও ক্ষমতার দম্ভ।

বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানাকে সন্তান সমতুল্য উল্লেখ করে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, সন্তান বেয়াদবি করলে তাকে ধমক দিতে হয়। তা নাহলে থাপ্পড় দিতে হয়, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। কারণ বেয়াদবির একটা সীমা আছে। পদ্মা সেতু যখন জাতির গর্ব, যখন আমরা এ সেতুর দিকে তাকিয়ে আছি, তখন এটাকে গোল্ডেন টয়লেট বলল। এটা এক্সপাঞ্জ করা উচিত।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত গোল্ডেন টয়লেটে নিমজ্জিত হয়েছে।

জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল। তাদের প্রশ্ন করা উচিত, তারা যে ক্ষতি করেছে তা কীভাবে পুষিয়ে দেবে।

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন, সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

এইউএ/এমএইচএস