রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সুমন সিকদার ওরফে মুসাকে ওমান থেকে দেশে আনা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) নেতৃত্বে মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তবে এ কাজে এনসিবিকে সহযোগিতা করেছে ইন্টারপোল ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিদেশে এসকর্ট টিম পাঠিয়ে এবার প্রথম নয় এর আগেও সৌদি আরব থেকে একটি ধর্ষণ মামলার আসামিকে দেশে আনা হয়েছিল। 

পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে সৌদি আরব থেকে পুলিশের তিন সদস্যের একটি টিম দেশে নিয়ে আসে। এবার দ্বিতীয় বারের মতো এসকর্ট পাঠিয়ে মুসাকে ওমান থেকে নিয়ে আসা হলো।

এ বিষয়ে পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো.কামরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগে সৌদি আরব থেকে এক আসামিকে এসকর্ট টিম পাঠিয়ে আনা হয়েছিল। আর এবার দ্বিতীয় বারের মতো এসকর্ট পাঠিয়ে মুসাকে ওমান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।

শিশু রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম

পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন,  ইন্টারপোলের সাহায্যে ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জোর তৎপরতায় পুলিশের তিন সদস্যের টিম পাঠিয়ে মুসাকে দেশে আনা হয়। মুসার আগে মধ্যে প্রাচ্যের আরেকটি দেশ থেকে এক আসামিকে দেশে আনা হয়। এরপর আবার দ্বিতীয় বারের মতো মুসাকে ওমান থেকে দেশে নিয়ে আসে আমাদের তিন সদস্যের একটি টিম। মুসাকে আনতে গত রোববার ওমানে যান ডিবির মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দীন।

উল্লেখ, সুমন শিকদার মুসাকে আজ বিকেলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের নতুন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মুসাকে বিকেল ৪টায়া ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তাকে এখন টিপু হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

এমএসি/এসকেডি