চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের জঙ্গল গুনাগরী এলাকায় নারায়ণ নাথ নামে এক ব্যক্তির বসতঘর ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী নারায়ণ নাথ অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেওয়ায় তার ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলছেন, দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। বিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

পেশায় মোটর মেকানিক নারায়ণ নাথ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমরা নৌকা প্রতীকের পক্ষে ছিলাম। নির্বাচনে নৌকা জয়লাভ করে। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে আমার ঘর ভেঙে দিয়েছেন মাসুদ, আবু সালেক, নূরুল আমিন ও সেলিমসহ আরও ১৫-২০ জন। তারা পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অনুসারী। ঘর ভেঙে যাওয়ার সময় তারা ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গেছেন। ঘরটি ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

১৫ জুনের নির্বাচনে কালীপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহদাত আলম ৪১৭ ভোটে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. নোমানকে পরাজিত করেন। তৃতীয় হন বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান চৌধুরী। তাদের অনুসারীরাই ঘর ভেঙে দিয়েছেন বলে দাবি করেন নারায়ণ নাথ।

ঘর ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।  জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘর ভাঙচুরের যে ঘটনা ঘটেছে তা মূলত জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে। দুই পক্ষের বিরোধ নিয়ে আদালতে মামলা আছে, ইউএনওর কাছে দরখাস্ত আছে। দুই মাস আগে নারায়ণ নাথরা একটি ঘর নির্মাণ করেছিলেন। আরেক পক্ষ ভাঙচুর করেছে।  

নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে ঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি ভোগাস কথা। ইউএনও ও আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।

কেএম/আরএইচ