সিলেটের ভয়াবহ বন্যায় উদ্ধার তৎপরতা ও মানবিক সহায়তায় কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় খোলা হয়েছে মনিটরিং সেল। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিলেটের সব ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে সবাইকে স্ট্যান্ডবাই ডিউটিতে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন এ বিষয়ে সিলেট বিভাগীয় অফিসকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। এর পর থেকে বন্যায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম আরও জোরদার হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার বলেন, সিলেটের ভয়াবহ বন্যায় মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তাদের নেতৃত্বে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও। 

তিনি বলেন, শুক্রবার থেকে বিপর্যয়ের মুখে থাকা সিলেট সদরের খাদ্য গুদামে ঢুকে পড়া পানি নিয়মিতভাবে পাম্পের মাধ্যমে সেচের কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। এ ছাড়া বিপর্যয়ের মুখে থাকা কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রেও নিয়োজিত করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। সেখানেও তারা পানি সেচের কাজ করছে।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় শুক্রবার রাতেই জরুরি ভিত্তিতে অধিদপ্তর থেকে সিলেটে জেমিনি বোট পাঠানো হয়েছে। জেমিনি বোটের সাহায্যে আজ (১৮ জুন) সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস।

ইতোমধ্যে সিলেটের দোয়ারাবাজার ফায়ার স্টেশনে ৪০ জন বন্যার্ত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে খাদ্য সহািয়তা পৌঁছে দিতেও কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

এক প্রতিক্রিয়ায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিস হচ্ছে মানুষের দুঃসময়ের বন্ধু। সিলেটের এই মানবিক বিপর্যয়ে আমাদের সদস্যরা ঘরে বসে থাকতে পারেন না। আমরা রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা সিলেটের বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে আছি। ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের সব কার্যক্রম নিয়মিত ও নিবিড়ভাবে আমি নিজে পর্যবেক্ষণ করছি। প্রয়োজনীয় সব সাহায্য নিয়ে এ  দুর্যোগে সিলেটবাসীর পাশে থাকবে ফায়ার সার্ভিস। 

জেইউ/আরএইচ