জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম আজ প্রস্তুত। পদ্মা সেতুর স্পিরিটকে ধারণ করে তারা এগিয়ে যাবে।

শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু নির্মাণ : বিশ্ব ব্যবস্থায় বাংলাদেশ তথা উন্নয়নশীল দেশসমূহের এক যুগান্তকারী বিজয়’ শীর্ষক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু দীর্ঘদিসের লালিত স্বপ্ন। আজ আর স্বপ্ন নয়। আজ বাংলাদেশের বাস্তবতা। আমাদের অহংকার। বাঙালির আত্মনির্ভরতার এক অনন্য উদাহরণ। অতুলনীয় নিদর্শন। চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে নিজস্ব অর্থায়নে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, স্ব-অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ বৈশ্বিক অর্থনীতিকে নাড়া দিয়েছে। বিশ্ব ব্যাংককে তাদের বৈশ্বিক ল্যান্ডিং সিস্টেম নিয়ে আবার ভাবতে হবে। যারা অংশীজন তাদের সবার প্রতি ন্যায্যতা করতে হবে-এটা আমরা শুনে থাকি। কিন্তু পদ্মা সেতুর ব্যাপারে কী হলো? বিশ্বব্যাংক হঠকারিভাবে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের ভিত্তিহীন অভিযোগ করে। সেই কথিত দুর্নীতির প্রমাণ চাওয়ার পরও আমরা পাইনি। লেনদেন ব্যতীত অনুমান নির্ভরতার ওপর ধারণা করে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ায়।

স্পিকার বলেন, পদ্মা আমাদের কাছে কেবল একটি ইট-পাথরের নির্মিত সেতু নয়। এর সাথে জড়িয়ে আছে লক্ষ-কোটি বাঙালির আবেগ। আমাদের ভালোবাসা আমাদের গৌরব। দেশের মানুষ সেদিন শক্তি যুগিয়েছিল। কারণ মানুষের শক্তিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন। আমরা আজ আমাদের সক্ষমতাকে উদযাপন করছি।

তিনি বলেন, আবারও প্রমাণ হয়েছে, বাঙালি জাতি যে কোনো প্রতিকূল পরিবেশে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। আমরা পারি। পদ্মা সেতু আমাদের বিজয়ের প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক। ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতীক। আমাদের হার না মানার প্রতীক। আমাদের সক্ষমতার প্রতীক। বঙ্গবন্ধু কখনও বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে আপস করেননি। আমরা বারবার প্রমাণ করেছি নিজেদের দৃঢ়তা।

স্পিকার বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সর্বত্র। বাড়িতেও আলোচনা। ছেলে-মেয়েদের সাথে আলোচনা হয়। আমার মেয়ের বয়স ২৮ আর ছেলের ১৮। তাদের সাথে আলোচনায় যে অভিমত পাই, মেয়ে বলেছে, পদ্মা সেতু আমাদের নেতা শেখ হাসিনার সাহসের প্রতীক। শেখ হাসিনার দৃঢ়তার প্রতীক। ছেলে বলেছে, পদ্মা সেতু আমাদের নৈতিক সততার প্রতীক। ভবিষ্যতের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রতীক।

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী সামসুল আলম, অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আইনুন নিশাত, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার গোলাম রহমান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ।

এইউএ/এসকেডি