বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে আরও ২৫০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে অনুমোদন দেবে মালয়েশিয়া। বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো ১ হাজার ৫২০টির তালিকা থেকে এসব এজেন্সি বাছাই করা হবে। এর সঙ্গে আগের বাছাই করা ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সিও থাকছে। রোববার (১৯ জুন) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের পাঠানো ১ হাজার ৫২০টি নিয়োগকারী সংস্থা থেকে ২৫০টি কোম্পানিকে বেছে নেবে। এ তালিকা থেকে আগেই ২৫টি কোম্পানিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, এখন শুধুমাত্র প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ২৫টি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ২৫টি কোম্পানি একটি কাঠামোর মধ্যে কাজ করবে। এ ২৫ কোম্পানির প্রতিটিতে ১০টি কোম্পানি বরাদ্দ করতে হবে।  

সারাভানান বলেন, ২৫টি কোম্পানি এবং ২৫০টি কোম্পানির মধ্যে পার্থক্য কী? প্রথমত মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র ২৫টি কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন করবে। এসব কোম্পানিকে মন্ত্রণালয় থেকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে, যাতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার দিক-নির্দেশনাগুলো মেনে শ্রমিকদের কল্যাণ মেনে চলা হয়, বিশেষ করে বিদেশি কর্মীদের জীবনযাত্রা এবং কাজের অবস্থানের ক্ষেত্রে।

মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় শ্রমসমস্যা কঠোরভাবে মোকাবিলা করব। কেননা, শ্রমবাজার ইস্যু আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের অবস্থানকে কলঙ্কিত করছে। যে ২৫০ কোম্পানি কর্মী পাঠানোর সঙ্গে যুক্ত হবে, তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে মান নিয়ন্ত্রণ এবং মন্ত্রণালয়ের শর্ত পূরণের নিশ্চয়তা থাকবে ২৫ কোম্পানির হাতে। 

তিনি বলেন, ২৫টির আগে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে মাত্র ১০টি কোম্পানি জড়িত ছিল। কর্মীদের কল্যাণ ও জীবিকা রক্ষার জন্য মনোনীত ২৫টি কোম্পানিতে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স মেকানিজম প্রয়োগ করা হয়েছে। কর্মীদের কল্যাণেই ১০টি থেকে কোম্পানির সংখ্যা ২৫টি করা হয়েছে।

এখন থেকে বিদেশী কর্মী নিয়োগের অনুমোদন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে আসতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে নিয়োজিত ২৫টি এজেন্সিকে একটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করবে- সম্প্রতি এমন অভিযোগ তোলেন দেশটির সংসদ সদস্য চার্লিস সান্তিয়াগো। এ ছাড়া কর্মী নিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা দুটি গ্রুপও এমন অভিযোগ তুলেছে।

এ দিকে বাংলাদেশ থেকেও মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকরা। জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে, সবাইকে কর্মী প্রেরণের সুযোগ দিতে হবে, যারা বৈধ লাইসেন্সধারী সবাই যেন সুবিধা পায়।

এনআই/আরএইচ