বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানব সম্পদের অবাধ গতিশীলতা জোরদারে ভিসামুক্ত কমনওয়েলথ ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

শনিবার (২৫ জুন) রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে ২৬তম কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে (সিএইচওজিএম) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রস্তাব দেন।

সিএইচওজিএমর কার্যনির্বাহী অধিবেশনে ড. মোমেন বলেন, কপ-২৬ সম্মেলন অনুযায়ী ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিত রাখা এবং ১০০ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু অর্থ সংগ্রহকে কমনওয়েলথের ফ্ল্যাগশিপ এজেন্ডা হিসেবে বজায় রাখতে হবে।

তিনি কমনওয়েলথে একটি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট মেকানিজমেরও প্রস্তাব দেন, যাতে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের পণ্য ও পরিষেবার সুষম প্রবেশাধিকার পায়।

মোমেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে রাখাইন রাজ্যে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোকে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান।

সিএইচওজিএমর সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া ব্রুনাইয়ের সুলতান এবং মাল্টার উপ-প্রধানমন্ত্রী মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা ও উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

সিএইচওজিএমর সম্মেলনের ফাঁকে ড. মোমেন যুক্তরাজ্য, ডোমিনিকা, জ্যামাইকা, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

এনআই/আইএসএইচ