সিলেটসহ সারা দেশেই বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তবে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে বন্যার প্রভাবে নানা রোগ ও বন্যা সৃষ্ট দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এ অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে করণীয় প্রসঙ্গে জরুরি মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে হেলিকপ্টারে করে সিলেটে পৌঁছেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার (২৭ জুন) সকালে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। সফরসঙ্গী হিসেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সকাল ৯টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে সিলেটের সুনামগঞ্জের উদ্দেশে হেলিকপ্টারযোগে তিনি যাত্রা শুরু করেন। এরপর সিলেটের বেশকিছু এলাকা পরিদর্শন করে বেলা ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

সূত্র জানায়, বন্যার কারণে সড়ক পথে পরিদর্শন প্রায় অসম্ভব বিধায় মন্ত্রী হেলিকপ্টার যোগে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সিলেটের তাহিরপুর, বিশমবরপুর, সুনামগঞ্জ, দোয়ারাবাজার ও ছাতক পরিদর্শন করেন। এরপর মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বন্যায় সবমিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এবং বন্যা সৃষ্ট দুর্ঘটনায় ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ হাজার ৮৯০ জন।

দেশের ১০ জেলায় এখন পর্যন্ত ৮৪ জন মারা গেছে। সিলেট বিভাগেই ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুনামগঞ্জে ২৬ জন, মৌলভীবাজারে ৪ জন এবং হবিগঞ্জে ৪ জন মারা গেছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগে বন্যাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ৫ জন, নেত্রকোণা জেলায় ৯ জন, জামালপুর জেলায় ৯ জন এবং শেরপুর জেলায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও রংপুর বিভাগে এখন পর্যন্ত বন্যায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ৩ জন এবং লালমনিরহাটে ১ জন মারা গেছেন। তবে রংপুর বিভাগে কারো মৃত্যু হয়নি।

টিআই/এসএসএইচ