২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বাণিজ্যিক আমদানি পর্যায়ে ৩১ শতাংশ কর আরোপ মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দেবে। এই অবস্থায় লিফটের শুল্ক আগের মতো ১১ শতাংশ রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ এলিভেটর, এসকেলেটরস অ্যান্ড লিফট ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলিয়া)।

সোমবার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লিফট আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাজেটে লিফটকে অত্যাবশ্যক ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত করে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১১ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে সর্বমোট ৩১ শতাংশ করা হয়েছে।

লিফটের ক্রয় আদেশ ও অগ্রিম নেওয়ার পর ডিজাইন অনুযায়ী প্রতিটি লিফট নির্দিষ্ট বিল্ডিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়। বর্তমানে কিছু লিফট জাহাজীকরণ অবস্থায় এবং বন্দরে শুল্কায়ন পর্যায়ে অপেক্ষারত আছে। সেগুলো আগের শুল্কহারে (১১ শতাংশ) বিক্রয় করা হয়েছিল। এখন এগুলোর জন্য বাড়তি হারে (৩১ শতাংশ) শুল্ক দিতে হলে ওইসব প্রতিষ্ঠান ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বহু প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বেকার হয়ে পথে বসবেন।

তারা বলেন, হঠাৎ করে শুল্কহার বাড়ানোর ফলে ইতোমধ্যে এই খাত হুমকির মুখে পড়েছে। আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছে ছোট, মাঝারি এবং বড় পরিসরের শতাধিক প্রতিষ্ঠান। এগুলোর সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে লক্ষাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের ভাগ্য জড়িত।

বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, এই পরিস্থিতিতে সরকারের সদয় বিবেচনার জন্য লিফটকে অত্যাবশ্যক ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্যাটাগরিতে রেখে আগের ১১ শতাংশ শুল্কহার বহাল রাখতে হবে। এছাড়া মানববাহন লিফটের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশে লিফট স্ট্যান্ডার্ড প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করতে হবে।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ এলিভেটর, এসকেলেটরস অ্যান্ড লিফট ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমদাদ উর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম উজ্জ্বলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/এমএইচএস