পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনার সুযোগ আইনিভাবে বৈধ হলেও নৈতিকভাবে তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। 

শুক্রবার (১ জুলাই) এফডিসিতে এবারের বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, তা পুরোপুরি ফেরত আনা সম্ভব নয়। চুরি করা টাকা ফেরত আনার জন্য পাচার করেনি পাচারকারীরা। তাই পাচার হওয়া অর্থের খুব সামান্যই দেশে ফেরত আনা সম্ভব হবে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এক শ্রেণীর মানুষের কাছে প্রচুর টাকা রয়েছে, যে টাকা নানাভাবে পাচার হচ্ছে। যেসব দেশে টাকা পাচার করা হয়, সেসব দেশের সরকার অর্থের বৈধতা যাচাই না করেই তা বিনিয়োগের সুযোগ করে দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে দেশে কিছু টাকা ফেরত এলে অসুবিধা কোথায়? তাই পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত মন্দের ভালো। সরকার বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজ করছে না।

মন্ত্রী বলেন, পাচার হওয়া অর্থ এবারের বাজেটে দেশে ফেরত আনার সুযোগ আইনগতভাবে বৈধ করা হলেও নৈতিকভাবে তা গ্রহণযোগ্য নয়।

ছায়া সংসদে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। 
 
প্রতিযোগিতায় সরকারি তিতুমীর কলেজকে পরাজিত করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। ছায়া সংসদে বিচারক ছিলেন উন্নয়ন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক রিজভী নেওয়াজ, সাংবাদিক কাবেরী মৈত্রেয় ও সাংবাদিক আরিফুর রহমান। 

প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। 

আরএইচ