জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যাকারী গাজী আনিসের মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা। 

তাদের দাবি, হেনোলাক্স কোম্পানি ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেন গাজী আনিস। এটি পরিকল্পিত হত্যা। এই হত্যার পেছনে হেনোলাক্স কোম্পানির মালিক নুরুল আমিন জড়িত। 

মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গাজী আনিসের মামাতো ভাই তানভীর ইমামের নেতৃত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ করা হয়। 

গাজী আনিসের মামাতো ভাই তানভীর ইমাম বলেন, আমার ভাই কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। তিনি ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পেতেন হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে। এই টাকা না দেওয়ায় তিনি নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন। টাকা পেতে আমার ভাই কুষ্টিয়া আমলি আদালতে নুরুল আমিন ও তার স্ত্রীকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করেন, যা বিচারাধীন রয়েছে। গত ৩১ মে তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন কিন্তু কোনো ফল না পেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তাই গাজী আনিসের মৃত্যুর জন্য হেনোলাক্স কোম্পানির নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী দায়ী। অবিলম্বে নুরুল আমিন ও তার স্ত্রীর ফাঁসি দাবি করছি। 

মানববন্ধনে গাজী আনিসের ভাতিজা শাহবুব আলম বলেন, আমার চাচা গাজী আনিসের মরদেহ এখন ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আছে। কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। 

জানা গেছে, মৃত গাজী আনিস স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে যশোরে থাকতেন। 

এদিকে আজ দুপুরে গাজী আনিসের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে হেনোলাক্স গ্রুপের মালিক নুরুল আমিন এবং তা স্ত্রী ফাতেমা আমিনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন। 

উল্লেখ্য, গতকাল (৪ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গাজী আনিস। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে মারা যান তিনি। 

আইবি/এসকেডি