সম্প্রীতি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ২০১৮ সালের এ দিনে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’।

‘গাহি সাম্যের গান’ এ স্লোগানকে ধারণ করে আত্মপ্রকাশ করা সংগঠনটি বিগত পাঁচ বছরে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সাংগঠনিক ও জনকল্যাণমূলক কর্মসূচী পালন করছে।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক প্রার্থীদের পক্ষে ‘পথ হারাবে না বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রায় ৫০টি সংসদীয় এলাকায় প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।

এছাড়াও সংগঠনটির গত ৫ বছরে ধারাবাহিক কর্মসূচীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, বিভিন্ন জেলায় সম্প্রীতি সমাবেশ, সম্প্রীতি সংলাপ ও মতবিনিময় সভা। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যাতে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে তার প্রতিবাদে ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করে  সম্প্রীতি বাংলাদেশ। যে সমাবেশে জাতীয় পর্যায়ের শতাধিক সংগঠন ও দশ সহস্রাধিক অসাম্প্রদায়িক চেতনার নাগরিক সংহতি প্রকাশ করে।

সাংগঠনিক কার্যক্রম ছাড়াও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, করোনা মোকাবিলায় সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করে সংগঠনটি। এমনকি করোনা অতিমারির সময় অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণের মতো কার্যক্রমও চালিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে অর্ধ শতাধিক জেলা, উপজেলা ও ইউনিট কমিটি গঠনের মাধ্যমে সাংগঠনিকভাবেও যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠেছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। সংগঠনটির আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সদস্য সচিব চিকিৎসক অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল তাদের সাফল্য যাত্রায় নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

আইএসএইচ