ঈদ যাত্রায় ট্রেনের ছাদে উঠলেই লাঠিপেটা করে নামিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। এছাড়া ট্রেনের ছাদে যেন কোনো যাত্রী উঠতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে চিলাহাটি-ঢাকা পথে চলাচলকারী নীলসাগর এক্সপ্রেস কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ালে হুমড়ি খেয়ে যাত্রীরা ট্রেনের ছাদে উঠে যান। পরে প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা করে যাত্রীদের ছাদ থেকে নামায় রেলওয়ে পুলিশ। যাদের মধ্যে অনেককেই লাঠিপেটা করা হয়।

এছাড়া দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী বনলতা এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার সময় দুয়েকজন যাত্রী ছাদে উঠতে চাইলে তাদেরও লাঠিপেটা করে নামিয়ে দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন : মোটরসাইকেলের মুভমেন্ট পাস পাওয়া যাবে কোথায়, কীভাবে নেবেন

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ যাত্রায় কোনো যাত্রী যেন ছাদে উঠতে না পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশ রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। নির্দেশনা পরিপালন ও যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই কোনো যাত্রীকে ছাদে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।

 

এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশের সদস্য মো.শফিক বলেন, ট্রেনের ছাদে আমাদের কড়া নজরে দিতে বলা হয়েছে। যাতে  কোনো মানুষ ছাড়ে উঠতে না পারে। ভেতরে যত যাত্রীই উঠুক সমস্যা নেই, কিন্তু ছাদে যেন মানুষ না উঠে।

আরও পড়ুন : আর চাপ দিয়েন না, ভেতরে জায়গা নেই

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মো.মাসুদ সারওয়ার বলেন, উত্তরাঞ্চলের এ ট্রেনগুলোতে ছাদে ছাত্রী উঠে বেশি। তাই ছাদে উঠা বন্ধ করতে বিমানবন্দর ও জয়দেবপুরে স্টেশনে যাত্রা বিরতি বন্ধ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তারপরেও যদি যাত্রীরা নির্দেশনা না মানেন তাহলে কীভাবে হবে? এক সঙ্গে বিপুল পরিমাণ যাত্রীকে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন। আমাদের এখানে ২০-২৫ জন পুলিশ সদস্য আছেন। তাদের দিয়ে বিপুল পরিমাণ যাত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

এমএসি/এসকেডি