সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের ব্যাপক চাপ রয়েছে। গন্তব্যের লঞ্চে উঠতে ও খুঁজে পেতে যাত্রীদের লঞ্চ টার্মিনালের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে ছুটতে দেখা গেছে। এ সময় অনেক যাত্রীকে কন্ট্রোল রুমের সাহায্য নিতেও দেখা যায়।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন গন্তব্যের প্রায় প্রতিটি লঞ্চই যাত্রী পূর্ণ করে ছেড়ে যাচ্ছে। আবার ছাড়ার অপেক্ষায় থাকা লঞ্চগুলো যাত্রীতে ঠাসা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে ঘাটে এসে গন্তব্যের লঞ্চ না পেয়ে অনেককে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। দুই সন্তান নিয়ে মাদারীপুর যাবেন এক নারী যাত্রী। সঙ্গে কোনো পুরুষ না থাকায় তাকে বিকল্প উপায় জানতে নৌ-টার্মিনাল কন্ট্রোল রুমে এসে যোগাযোগ করতে দেখা গেছে। তার মতো আরও অনেক যাত্রী তথ্য জানতে কন্ট্রোল রুমে আসছেন।
অন্যদিকে যাত্রীর চাপ থাকায় শনিবার (৯ জুলাই) সকালে লঞ্চ নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও আজ রাতেই সদরঘাট ছেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশালগামী কীর্তণখোলা-২ লঞ্চের ম্যানেজার ফারুক।
বিজ্ঞাপন
নৌ-টার্মিনাল কন্ট্রোল রুমের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তাও বলছেন, আজ যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। সন্ধ্যার পর চাপ বাড়ছেই।
সদরঘাট নৌ-নিরাপত্তা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বরিশাল রুটে ৬-৭টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এ রুটে আরও সমান সংখ্যক লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সদরঘাটে এসেছে ১২০টি লঞ্চ, ছেড়ে গেছে ১১৫টি।
জেডএস/এসকেডি