সরকার ঘোষিত ঈদুল আজহার ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা। খুলেছে অফিস-আদালতও। তবে এখনও ঈদের ছুটির আমেজ কাটেনি। যার কারণে বন্ধ রয়েছে রাজধানীর বিপণিবিতানগুলো। বন্ধ রয়েছে ফুটপাথের দোকানগুলোও। এখনও কর্মস্থলে ফেরেননি বেশিরভাগ দোকান কর্মচারী। ধারণা করা হচ্ছে, সব দোকানপাট, মার্কেট ও বিপণিবিতানে কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে আরও কয়েক দিন লাগবে।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাজধানীর শান্তিনগর ও গুলিস্তান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এই দুই এলাকার বড়-বড় বিপণিবিতান ও মার্কেটগুলো বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি ফুটপাতে গড়ে ওঠা দোকানগুলোও বন্ধ রয়েছে। তবে মার্কেটগুলো বন্ধ হলেও কয়েকটি খাবারের হোটেল খোলা দেখা গেছে।

রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার সবচেয়ে বড় বিপণিবিতান কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি শপিং কমপ্লেক্স। সরেজমিন দেখা যায়, এই বিপণিবিতানটি এখনও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। মার্কেটের প্রথম গেটও বন্ধ। শুধু মার্কেট নয়, এই এলাকার ফুটপাতের দোকানগুলোও বন্ধ।

কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি শপিং কমপ্লেক্সের সিকিউরিটি গার্ড রবিউল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মার্কেট চালু হতে আরও ৪-৬ দিন লাগবে। কারণ ঈদের পর সবসময় মার্কেট চালু হতে কমপক্ষে সাত দিন সময় লাগে। আর আজ মাত্র দুই দিন গেল। এখন দোকান খুললে মালিকদের লস হয়, কারণ বিক্রি না হলেও বিদ্যুৎ বিলসহ অন্য খরচ তো দিতে হয়।

রাজধানীর গুলিস্তানে গিয়েও দেখা যায়, এই এলাকার অধিকাংশ মার্কেট বন্ধ রয়েছে। তবে কয়েকটি ফুটপাতের দোকান খোলা রয়েছে। কিন্তু সেগুলোতে তেমন বেচাবিক্রিও নেই। ক্রেতা শূন্য দোকানিরা অলস সময় কাটাচ্ছেন।

গুলিস্তান সালিমাবাদ মার্কেটের নিচে ফুটপাতের দোকানি রুহুল আহমদ বলেন, এখনও ঢাকা পুরাই খালি। মানুষ মাত্র আসতে শুরু করেছে। মার্কেটগুলো খুলবে আগামী শনি, রোববার থেকে। কারণ এখনও অধিকাংশ দোকানের কর্মচারী ঢাকায় আসেনি।

তিনি আরও বলেন, মানুষ তো ঈদেই যা শপিং করা দরকার করে ফেলেছে। এখন মার্কেট জমতে কিছুটা সময় লাগবে। আমি ঈদে বাড়ি যাইনি। বউ-বাচ্চা ঢাকায় ঈদ করেছে। তাই বাসায় বসে থাকতে ভালো লাগছে না দেখে ১১টার দিকে এসে দোকান খুলেছি। তিনশ টাকা বিক্রি করেছি। কিছুক্ষণ পর আবার বাসায় চলে যাব।

এএইচআর/এসএসএইচ