ঈদ মৌসুমে হাতিরঝিলে বিনোদনপ্রেমীদের ভিড় থাকে বরাবর। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে না হতেই হাতিরঝিলে একটু স্বস্তির খোঁজে জড়ো হতে থাকেন ভ্রমণ পিপাসুরা।

বিনোদনপ্রেমীদের কেউ হাঁটছেন, আবার কেউ মৃদু বাতাস উপভোগ করছেন, কেউ কেউ সবুজ গাছের ছায়া কিংবা ঘাসের উপর বসে আছেন। কেউ কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে ওয়াটার বাসে ভ্রমণ করছেন।

আরও পড়ুন : এক টুকরো কোরবানির মাংস জোটেনি যে গ্রামে

মঙ্গলবার (১২জুলাই) বিকেল ৩টায় হাতিরঝিল গিয়ে দেখা যায়, দর্শনার্থীদের সংখ্যা একেবারেই কম। তবে বেলা ৫টার পর থেকে রোদের তেজিভাব কমার পর গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও এবং মধুবাগ এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে দলে দলে হাতিরঝিলে জড়ো হন বিনোদনপ্রেমীরা। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সীরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। বিকেল ৬টার পর লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় হাতিরঝিল।

বিপুল পরিমাণ জনসমাগমের কারণে ব্যস্ত সময় পার করছেন হাতিরঝিলের ব্যবসায়ীরা। বাদাম, ঝালমুড়ি, চানাচুর, পানি, বিভিন্ন রকম ফুলের মালা নিয়ে হকারদের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে।

উত্তরা থেকে মামার সঙ্গে হাতিরঝিলে আসা আশিকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে আইসক্রিম খেয়েছি, বাসে চড়েছি, আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। ঈদ ঈদ লাগছে।

আরও পড়ুন : ঈদে লাল মাংস ‘পরিমিত’ খাওয়ার পরামর্শ

স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে আসা সিমুল হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, অফিস-বাসার ঝামেলায় সচরাচর ঘুরতে বের হতে পারি না। আজকে বের হয়েছি ৪টার দিকে, প্রথমে বাস দিয়ে পুরো হাতিরঝিলে ঘুরে দেখেছি। তারপর ওয়াটার টেক্সিতে চড়েছি। এখন বিশ্রাম নিচ্ছি।

হাতিরঝিলে উত্তর পূর্ব কর্নারের মাঠে বাচ্চাকে নিয়ে ফুটবল খেলছেন আনিসুর রহমান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোরবানির কারণে প্রথম দুদিন বের হতে পারিনি। আজকে ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বের হয়েছি। ফাঁকা মাঠ পেয়ে ছেলের সঙ্গে ফুটবল খেলছি।

তার পাশে থাকা এনামুল হক বলেন, আমার ছেলে মিন্টু, হাতির ভাস্কর্যের ওপরে চড়েছে, নৌকা (ওয়াটার বাস) চড়েছে অনেক আনন্দ করছে। ওদের দেখে আমাদেরও ভালো লাগছে।

মতিঝিল থেকে আসা ইশতিয়াক ঢাকা পোস্টেকে বলেন, পরিবারের সবার সাথে প্রথমবার হাতিরঝিল এসেছি। মৃদু বাতাস, ফাঁকা জায়গা, চমৎকার আবহাওয়ার। এক কথায় এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। ঢাকার মধ্যে বা কাছাকাছি এ রকম পরিবেশ তেমন দেখা যায় না।

বাড্ডার সামসুন্নাহার বলেন, হাতিরঝিলের পাশেই আমার বাসা। ফলে নিয়মিত এখানে ঘুরতে আসি। আমার কাছে বেশ ভালো লাগছে।

কাঁঠালবাগান থেকে হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা জাহিদ বলেন, এখানে এসে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে নৌ-ভ্রমণ।

হাতিরঝিলের আইসক্রিম বিক্রেতা বলেন, গতকালের চেয়ে আজকে লোক বেশি। বিক্রিও বেশি হচ্ছে। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে রেস্টুরেন্টগুলোও  জমজমাট হয়ে ওঠেছে।

এমআই/এসকেডি