গ্লোব বায়োটেকের করোনার বটিকা

গ্লোব বায়োটেক করোনাভাইরাসের যে টিকা তৈরি করছে তা নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান, আমাদের কোম্পানি গ্লোব বায়োটেক করোনাভাইরাসের যে টিকা তৈরি করছে, সেটি নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘গ্লোব বায়োটেক এখনও ট্রায়াল শেষ করেনি। এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে মন্ত্রিসভায়। তারা যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মেনে করতে পারে, তাহলে তারা ট্রায়াল করবে, তারপর দেখা যাবে।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নতুন আবিষ্কৃত টিকার প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশে নতুন টিকা উৎপাদন আরও সহজ করতে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট (আইভিআই) প্রতিষ্ঠার চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট (আইভিআই) প্রতিষ্ঠার চুক্তিতে অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

১৯৯৬ সালের ২৮ অক্টোবর ইউএনডিপির উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে একটি আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার চুক্তি হয়, যেখানে বাংলাদেশও স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু সেই ইনস্টিটিউটের পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য আমাদের কেবিনেটের অনুমোদনের দরকার, সেজন্য এ প্রস্তাব তোলা হয়েছিল, বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, এটা যদি আমরা করি, তাহলে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং এ সম্পর্কিত গবেষণা কাজে প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা পাওয়া যাবে। এতে দেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতাও বাড়বে। ভ্যাকসিন উৎপাদন, প্রয়োগ ও মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও যুগোপযোগী হবে।

আইভিআইর চুক্তিতে অনুসমর্থন না করলে দেশে টিকা তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বাধা ছিল কি না তা জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, না, এতে কোনো সমস্যা না। ধরেন ফাইজারের সঙ্গে যদি কেউ চুক্তি করে, মূল চুক্তি তো ফাইজারের। এখন ফাইজার যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে, তাদের সব প্রটোকল অনুযায়ী, তাহলে আর ওই চুক্তি লাগে না। তবে নতুন করে বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান, যেমন গ্লোব বায়োটেক যদি কোনো প্রোডাক্ট এখান থেকে প্রডিউস করতে চায়, তাহলে আমাদের চুক্তির অধীনে শর্ত মানতে হবে।

এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে মন্ত্রিসভা। বৈঠকে আজ শোক প্রস্তাব নেওয়া হয়। মন্ত্রিসভা শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার এটিএম শামসুজ্জামান শনিবার সকালে তার সূত্রাপুরের বাসায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

এনএম/জেডএস