ঈদের ছুটি শেষে সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব অফিসই খুলেছে গত ১২ জুলাই। কর্মস্থলে যোগ দিতে তার আগের রাতেই ঢাকা ফিরেছেন কর্মজীবীরা। এদের বেশিরভাগই পরিবারের বাকি সদস্যদের গ্রামে রেখে এসেছেন। আবার অনেকে বাড়তি ছুটি কাটিয়েছেন।

এদিকে ঈদের দীর্ঘ ছুটি শেষে বাসে, ট্রেনে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। যাওয়ার পথে ট্রেন নিয়ে নানা অনিয়ম ও ভোগান্তির কথা বললেও আজ ফিরেছেন স্বস্তিতে। তবে দুই-একটি ট্রেন দেরিতে ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো স্টেশনে ভিড়ছে। ট্রেনগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষ প্ল্যাটফর্মে নামছেন। বলছেন, ফিরতি পথে কোনো ভোগান্তি হয়নি।

জামালপুরের তারাকান্দি থেকে ছেড়ে আসা যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে কমলাপুরের ৬ নম্বর প্লাটফর্মে ভিড়ে। ওই ট্রেনের যাত্রী আহসান নোবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ট্রেন সঠিক সময়ে সরিষাবাড়ি স্টেশন থেকে ছাড়ে। অধিকাংশ আসনই ছিল পরিপূর্ণ। কিছু মানুষ দাঁড়িয়েও এসেছে। তবে পথে কোনো অসুবিধা হয়নি।

আরেক যাত্রী ফারজানা স্মৃতি বলেন, জামালপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছি। আসতে কোনো অসুবিধাই হয়নি। তবে টিকিট পেতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে।

সকাল ৯টা ৪৮ মিনিটে ৭ নম্বর প্লাটফর্মে এসে থামে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা নীলসাগর এক্সপ্রেস। ট্রেনটি বিলম্বে ছেড়েছে এমন অভিযোগ ছিল যাত্রীদের। রাত ৮টার দিকে চিলাহাটি থেকে যাত্রা করে ট্রেনটির ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে।

ওই ট্রেনের যাত্রী নাজমুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশন থেকেই ট্রেনে উঠেছে। ট্রেন রাত ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ছেড়েছে ৯টা ১০-১৫ দিকে। এই বিলম্বটুকু ছাড়া যাত্রা পথে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি।

রুবেল হোসেন বলেন, আমি জয়পুরহাট স্টেশন থেকে উঠেছি। জয়পুরহাট থেকে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার কথা। কিন্তু সেই ট্রেন ছেড়েছে রাত দুইটা ৪৫ মিনিটে।

এমএইচএন/এমএইচএস