রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এক দম্পতির সাত মাস বয়সী শিশু চুরির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- মুন্নি (১৮) ও মো. সুমন (২০)। 

অপহৃত শিশুকে জীবিত ও সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনকে কামরাঙ্গীরচর থানায় সোপর্দ করেছে র‌্যাব। বিষয়টি জানিয়েছেন র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান। 

তিনি জানান, কামরাঙ্গীরচরের ঝাউলাহাটি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন সোনিয়া আক্তার (২১) ও তার স্বামী মো. সাগর (২৩)। ১৩ জুলাই সোনিয়ার ভাসুর অর্থাৎ সাগরের বড় ভাই রিকশাচালক মো. শাহজাহান (২৮) কাজ শেষে যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন তার দেখা হয় মুন্নি ও মো. সুমনের সঙ্গে। 

মুন্নি ও মো. সুমন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে আশ্রয়ের জন্য শাহজাহানের কাছে সাহায্য চান। শাহজাহান তাদের নিয়ে ছোট ভাই সাগরের বাসায় যান এবং ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীর কাছে আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ করেন। তার অনুরোধে তারা মুন্নি ও সুমনকে রাতে থাকার জায়গা দেন।  

১৪ জুলাই সকালে সাগর ও শাহজাহান কাজের জন্য বাইরে গেলে সুমনও তাদের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। দুপুর আড়াইটার দিকে সাগরের স্ত্রী সোনিয়া তার সাত মাসের শিশুকন্যা মোছাইফা ইসলাম জান্নাতকে মুন্নির পাশে তাদের খাটের ওপর শুইয়ে রেখে রান্নাঘরে যান।

কিছুক্ষণ পর সোনিয়া তার মেয়ের কোনো শব্দ না পেয়ে ঘরের ভেতরে গিয়ে দেখেন, তার মেয়েও নেই, আশ্রয়ে থাকা মুন্নিও নেই। সোনিয়া চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। অনেক খুঁজেও না পেয়ে ফোনকলে  জানান স্বামী ও ভাসুরকে। পরে সোনিয়া তার স্বামী ও ভাসুরসহ আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এবং  র‌্যাব-১০ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি দল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কামরাঙ্গীরচরের থানার হুজুরপাড়া বেইলি রোড এলাকায় অভিযান চালায়। পরে ওই শিশুকে উদ্ধারসহ সুমন ও মুন্নিকে গ্রেপ্তার করে।  

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার মুন্নি ও সাগর শিশুচোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা তারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাসা-বাড়ি থেকে শিশু চুরি করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার নিঃসন্তানদের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করেন। 

জেইউ/আরএইচ