ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযানের ২য় দিনে ৬৫৫৬ স্থাপনা পরিদর্শন
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষ মশক নিধন অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অভিযানের দ্বিতীয় দিনে ছয় হাজার ৫৫৬টি সড়ক, নর্দমা, জলাশয়, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করেছে ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
এর মধ্যে ৪২টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায় ও তিন হাজার ৫১৪টিতে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় এবং অন্যান্য অপরাধে ২০টি মামলায় মোট তিন লাখ ছয় হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, ডিএনসিসির উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) আজ ৭৮৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬৩০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) ২৩০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ছয়টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ২০৩টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) দুই হাজার ১৩০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১৬৭টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক এ অঞ্চলে তিনটি মামলায় এক লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) ২৩৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ২৩৬টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক এ অঞ্চলে একটি স্থাপনার মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) ২০১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে দুটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১৬৭টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। এসময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার বিক্রয় করায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক একটি হোটেলের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) এক হাজার ১৮৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৮৩৬টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক এ অঞ্চলে ছয়টি স্থাপনার মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
দক্ষিণ খান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) ৮৯৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ছয়টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৭০২টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
উত্তর খান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) ৭৮৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ছয়টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৪৮৬টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক এ অঞ্চলে চারটি মামলায় ছয় হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) ৩৬টি স্থাপনা পরিদর্শন করে তিনটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৩৬টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক এ অঞ্চলে দুটি মামলায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) ৬০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে একটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৫১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক এ অঞ্চলে তিনটি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এএসএস/ওএফ