নার্সদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত আল-আমীন

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নার্সদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঢাকা নার্সিং কলেজের ছাত্র আল-আমিন মাথায় আঘাত পেয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নার্সদের বিভিন্ন দাবি কেন্দ্র করে চলমান আন্দোলনের কর্তৃত্ব নিয়ে ঢাকা নার্সিং কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে বিএনপিপন্থী নার্সদের এ সংঘর্ষ হয়েছে।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগের পুলিশ ক্যাম্পের পাশে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মারামারির ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে দায়িত্বরত গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্য জানান, নার্সরা তিন দফা দাবি নিয়ে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে। আন্দোলনের কর্তৃত্ব পাওয়ার জন্য ডিপ্লোমা নার্সিং ও বিএসসি নার্সদের মধ্যে কোন্দল ছিল। তারই বহিঃপ্রকাশে আজ মারামারি ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের অপর একটি সূত্র জানায়, বিএনপিপন্থী নার্সদের এটি পরিকল্পিত হামলা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপিপন্থী নার্স নেতা ঢামেকের সিনিয়র স্টাফ নার্স আসাদুজ্জামান জুয়েল ও ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রায় ২০-৩০ জন হামলায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়। বেকার সংগঠনের সভাপতি মামুন হাসান, রাজিব অরনি, লিজা আক্তার, শরিফুল ইসলাম, কাওসার হোসেন, সাদিকুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন ও অন্যান্য নার্সরা ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।

হামলায় ছাত্রলীগ কর্মী আল-আমীন গুরুতর আহত হন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে মারামারির সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা ও হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। সবাই এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। পরে ঢাকা মেডিকেল ক্যাম্প পুলিশ ও শাহবাগ থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানান, হাসপাতালে সীমানায় মারামারি কোনো মতেই মেনে নেওয়া যাবে না। হাসপাতালের রোগীদের সেবা দেওয়াই হচ্ছে প্রধান কাজ। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

টিআই/এমএইচএস