খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ / ফাইল ছবি

অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের শারী‌রিক অবস্থা সংকটাপন্ন। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) থে‌কে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার শারী‌রিক অবস্থার কো‌নো উন্ন‌তি হয়‌নি। তি‌নি ক্রিটিক্যাল মুহূর্তে রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়া‌রি) সকা‌লে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ গত রোববার থে‌কে লাইফ সাপোর্টে। এখন পর্যন্ত তার শারী‌রিক অবস্থার কো‌নো উন্ন‌তি হয়‌নি। তি‌নি ক্রিটিক্যাল মুহূর্তেই রয়েছেন। এখন ডাক্তা‌দের এক‌টি টিম রাউ‌ন্ডে রয়েছেন। দুপু‌রে তার অবস্থা বিস্তা‌রিত তথ্য জানা‌নো যা‌বে।

এর আ‌গে ‘খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন। রোববার বিকে‌ল থে‌কে তা‌কে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়ে‌ছে।

কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘তিনি (ইব্রাহিম খালেদ) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। আরও কিছু জটিল সমস্যা রয়েছে। এছাড়া বয়সও হয়েছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ 

জানা গে‌ছে, ইব্রাহিম খালেদ জানুয়া‌রির শেষ দি‌কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হ‌ন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে তিনি ওই সময় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা নেন। সেখানে চিকিৎসার পর করোনা নেগেটিভ হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এখন তি‌নি লাইফ সাপোর্টে আছেন। 

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ দীর্ঘ ছয় দশক ধরে বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যুক্ত। তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। 

ব্যাংকিং ও অর্থনীতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে ২০০৯ সালে ‘খান বাহাদুর আহছানউল্লা স্বর্ণপদক’ ও ২০১৩ সালে ‘খান বাহাদুর নওয়াব আলী চৌধুরী’ জাতীয় পুরষ্কার দেওয়া হয়। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ২০০০ সাল থেকে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার পরিচালক, নির্বাহী পরিষদের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

তিনি ১৯৪১ সালে গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।  

এসআই/এসএম