শাহবাগের আশপাশে ১৫ স্থানে যানজট
যানজটে আটকে আছে বাস/ ছবি- ঢাকা পোস্ট
রাজধানীর শাহবাগে ৩০ শতাংশ কোটাসহ সাত দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনে আশপাাশের ১৫টি স্থানে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে শাহবাগে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের ব্যানারে সাত দফা দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা। এর পর থেকেই এসব এলাকায় যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
শাহবাগ জোনের রমনা বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. গোলাম মোস্তাফা ঢাকা পোস্টকে বলেন, যানজট নিরসনে আমরা কিছু বিকল্প রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু এতেও আশপাশের প্রায় ১৫ এলাকায় প্রভাব পড়েছে।
তিনি জানান, ফার্মগেট থেকে আসা মতিঝিলগামী গাড়িগুলো শেরাটন হয়ে কাকরাইল হয়ে চলে যাচ্ছে। আর মতিঝিল থেকে ফার্মগেটগামী গাড়ি শাহবাগ থানার সামনে দিয়ে ইউটার্ন করে জাতীয় যাদুঘর হয়ে কাঁটাবন হয়ে যাচ্ছে। শাহবাগ মোড়ের রাস্তা অবরোধের কারণে ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, বাংলামোটর, সাইন্সল্যাব, মৎস্যভবন, কাকরাইল, প্রেসক্লাবসহ প্রায় ১৫ এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বাসে ধানমন্ডি যাচ্ছেন সিরাজুল ইসলাম। শাহবাগে প্রায় দেড় ঘণ্টা যানজটে আটকে আছেন। তিনি বলেন, আশপাশের প্রায় সব এলাকাতেই তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। আমরা খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি। আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের এভাবে বিপদে ফেলা ঠিক নয়।
পাশেই থাকা আরেকজন যাত্রী বলে ওঠেন, এভাবে আমাদের জিম্মি করে আন্দোলনে সফল হওয়া যাবে না। তারা আন্দোলন করুক কিন্তু আমাদের কেন বিপদে ফেলে রেখেছে। আমরা তো তাদের কোনো সমাধান দিতে পারব না।
জরুরি প্রয়োজনে কারওয়ানবাজার যাচ্ছেন শাহীনুর রহমান। যানজটে কারণে তাই বাধ্য হয়ে হেঁটে রওনা হয়েছেন। তিনি বলেন, এতো যাত্রীদের হয়রানি করা ঠিক নয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তায় আটকে থাকায় শিশু ও নারীসহ সব বয়সী যাত্রী গাড়িতে বসে আছেন। অনেকই বিরক্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা দিয়েছেন। অনেকে বসে আছেন রাগ করে।
কর্মসূচিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, রাজশাহী, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন জেলা ও ইউনিটের সংগঠনটির প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন।
একে/এইচকে