বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার ড. আতিউর রহমান বলেছেন, আজ আমরা সাহসের সঙ্গে জোর গলায় বলতে পারি আমাদের দেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছি। এটার পুরো কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যারা বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে বলে গুজব ছড়াচ্ছে তাদের কথার ভিত্তি নেই।

শনিবার জুলাই বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কমান্ড, বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ আয়োজনে মহুয়া সাংস্কৃতিক পরিষদের ব্যবস্থাপনায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ৩টি গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. আতিউর রহমান বলেন, অনেক প্রান্তিক পর্যন্ত ব্যাংকিং সেবা চলে গেছে। যার পুরো কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর। মুক্তিযুদ্ধের ৮০ শতাংশই ছিল কৃষক শ্রেণি। আর কৃষকদের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময় পাশে থেকেছে। এক অর্থে কৃষকরাও ডলার কামাচ্ছেন, কেননা এই মুহূর্তে যদি বাংলাদেশের বাইরে থেকে ২-৩ বিলিয়ন ডলারের খাদ্য কিনতে হতো, তাহলে রিজার্ভ সমস্যা অনেক বেশি দেখা দিত। সেটা যেহেতু লাগছে না সুতরাং কৃষক ও এ রিজার্ভ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কী আমি এটা জানতাম না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ব্যাংকে আমাকে বসিয়েছিলেন। বাংলাদেশে যতগুলো ব্যাংক আছে তার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক অন্যতম। দেশে জন্মগ্রহণ করলেই দেশকে ভালোবাসা হয় না, দেশকে জানতে হবে এবং ভালবাসতে হবে তাহলেই দেশকে ভালবাসার পূর্ণতা পাবে।  

লায়ন হামিদুল আলম সখার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কমান্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট অভিনেতা পিনাকী সর্বকার। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, বিশিষ্ট ছড়াকার বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সাবেক পরিচালক আনজীর লিটন, সাপ্তাহিক শীর্ষ খবরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান (শ্বাশত মনির )।

আইবি/এসকেডি