মন্ত্রণালয়ের সভা শেষে বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

করোনাভাইরাসের টিকার দুই ডোজ নিলেও বিদেশ যেতে করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। 

বাংলাদেশ থেকে বিদেশ ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক সব যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে সরকার নির্ধারিত হাসপাতাল থেকে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট পেতে হয়। দেশত্যাগের ৭২ ঘণ্টা অথবা গন্তব্য দেশের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করোনা পরীক্ষা করতে হয়।

যারা করোনার দুটি ডোজ নেবেন, তাদের ক্ষেত্রে বিদেশ যেতে সনদ লাগবে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ‌‘অবশ্যই লাগবে। যে দেশে যাবে তারা এটা দেখতে চাইবে, সে ডাবল ডোজ নিয়েছে কি না ও কতদিন আগে নিয়েছে। এ বিষয়টি অবশ্যই লাগবে এবং ডাবল ডোজের সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হবে বিদেশে যেতে হলে।’ 

টিকা নেওয়ার সার্টিফিকেট নয়, ডাবল ডোজ নেওয়ার পর নেগেটিভ সনদ লাগবে কি না-এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘লাগবে, জি লাগবে।’

দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরকারের কেনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রথমে টিকা নেওয়া নিয়ে নানা ভয়ভীতি ও প্রশ্ন তোলা হলেও এখন টিকা নিচ্ছেন দেশের মানুষরা। 

ইতিমধ্যে ২৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এরমধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ও নারীর সংখ্যা আট লাখ। আর টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৩৬ লাখের বেশি মানুষ।’

তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা পেতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর কথা। দেশে টিকার প্রথম চালান আসে ২৫ জানুয়ারি। এর আগে উপহার হিসেবে বাংলাদেশে পাঠানো ভারত সরকারের ২০ লাখ টিকা পৌঁছায় ২১ তারিখ। 

সর্বশেষ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভারত থেকে আসে ২০ লাখ ডোজ করোনার টিকা। সব মিলিয়ে তিন দফায় মোট ৯০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেশে এসেছে। 

বিকল্প অন্য কোনো দেশের সঙ্গে করোনার টিকা আনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, জানতে চাইলে সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো আমাদের সঙ্গে যে-ই আলোচনা করতে চায় তাদের সঙ্গে আলোচনা করি। যারা আবেদন করেছে তার মধ্যে ভারত বায়োটেক আছে, এটি আগেও শুনেছেন। এছাড়া চাইনিজ একটি সরকারি কোম্পানিও আছে।’ 

রাশিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে কথা কিছু আছে, চিঠিপত্র পর্যায়ে। কমপ্লিট লেভেলে এগিয়ে আসেনি এখনও। আপনাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে ভ্যাকসিনগুলো রাখার টেম্পারেচার অনেক কম, সেগুলো আমাদের দেশে ব্যাপকহারে ব্যবহার করা কঠিন। সেজন্য আমরা ওই সব টিকায় অগ্রাধিকার দিতে হবে যেগুলো আমরা দুই থেকে আট ডিগ্রিতে রাখতে পারি, যেটা আমরা এখন করে আসছি।’

এসএইচআর/ওএফ