গ্লোব বায়োটেকের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া ছবি

আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করায় মর্যাদাপূর্ণ ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (আইএসও) ৯০০১:২০১৫ এবং ১৪০০১:২০১৫ সনদ লাভ করেছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গ্লোব বায়োটেকের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশনের ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

তিনি জানান, গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ভ্যাকসিন ও অন্যান্য পণ্যের গুণমান পরিচালনা পদ্ধতি এবং পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির জন্য আইএসও ৯০০১ঃ২০১৫ (ISO 9001:2015) এবং আইএসও ১৪০০১ঃ২০১৫ (ISO 14001:2015) সনদ লাভ করেছে।

আইএসও একটি বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এর প্রধান কেন্দ্র সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। আইএসওর সদস্য হিসেবে রয়েছে মোট ১৬২টি জাতীয় মান সংস্থা। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এমনই একটি সদস্য।

সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মান তৈরির জন্য ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। সুনির্দিষ্ট বাজার চাহিদার ভিত্তিতে তৈরি একটি খসড়া মান নিয়ে তার উন্নয়নে কাজ করে টেকনিক্যাল কমিটি। প্রয়োজনীয় আলাপ–আলোচনার পর মানের একটি চূড়ান্ত সংস্করণ নির্ধারণ করা হয়। পরে তা প্রস্তাব আকারে উত্থাপিত হয়। এরপর আইএসও সদস্যদের ভোটের ভিত্তিতে তা অনুমোদিত হয়। এভাবেই নির্ধারিত হয় একটি আইএসও মান।

তবে যদি সদস্যদের ভোটাভুটিতে কোনো মান সম্পর্কে মতৈক্যে পৌঁছানো না যায়, তবে তা পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়। পরে আবার তা ভোটে পাঠানো হয়। একটি নির্দিষ্ট মানের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রায় তিন বছর সময় লাগে। প্রথম প্রস্তাব থেকে চূড়ান্ত প্রকাশনা পর্যন্ত যেতে এই সময় প্রয়োজন হয়।

একটি মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে আইএসও বেশ কিছু বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে থাকে। সাধারণত বাজার চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই কোনো একটি বস্তু, পণ্য, সেবা বা প্রক্রিয়ার আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণের কাজ হাতে নেয় আইএসও। সাধারণত শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী তার দেশে থাকা আইএসওর জাতীয় সদস্যের সঙ্গে প্রথমে যোগাযোগ করে। পরে সেই সদস্য যোগাযোগ করে আইএসওর সঙ্গে।

আইএসও মান সব সময়ই বৈশ্বিক বিশেষজ্ঞ মতামতের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। তবে শুধু বিশেষজ্ঞই নয়, আইএসওর কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে ভোক্তা অ্যাসোসিয়েশন, বেসরকারি সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট সরকারব্যবস্থা। এভাবে সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতেই আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণের কাজটি করে আইএসও।

টিআই/এনএফ