ডিবি-টহল পুলিশের তৎপরতায় কমেছে ডাকাতি : হারুন

আগ্নেয়াস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১১ সদস্য গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজধানীর কোতয়ালী থানাধীন মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের কোতয়ালী জোনাল টিম।

ডিবি পুলিশ বলছে, ডিবি পুলিশ ও পুলিশের টহল টিমের তৎপরতা আছে বলেই কমেছে ডাকাতি। উদ্ধার হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ডাকাত দলের নেতা মো. সুমন চৌকিদার ওরফে সুমন মিয়া (৩৪), মো. মোস্তফা (৩২), আরিফ হোসেন (৩৪), মো. পলাশ (৩২), মো. করিম (২৫), মো. হাসান (১৮), রিপন ওরফে আকাশ (২৪), জয়নাল আবেদিন (৩১), ওমর ফারুক ফয়সাল (২০), রাসেল (২৪) ও হাফিজুল ইসলাম (৩৩)।

আরও পড়ুন>> কখনও রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইবেন না, পুলিশের কাছে মুচলেকা হিরো আলমের

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ১টি ৭.৬৫ বোরের বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড ৭.৬৫ বোরের গুলি, ১টি বড় ছোরা, ১টি রামদা, ২টি লোহার তৈরি চাপাতি, পুরোনো পাটের রশি, ১টি পুরোনো গামছা, ৫টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ১টি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশিদ।

তিনি বলেন, লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগে প্রতিনিয়িত অভিযোগ আসছে যে, মিডফোর্ড, ঢাকার বাইরে যাত্রীবাহী বাস, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও কালিগঞ্জ এলাকায় স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি হচ্ছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে ১৬ জন ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এই দলের সদস্য সুমন চৌকিদার স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করতে গিয়ে এক কর্মচারীকে খুন করতেও দ্বিধা করেননি। তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, দস্যুতাসহ ১৬টি মামলা রয়েছে। রয়েছে ৫টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তাররা কোতয়ালী থানাধীন মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছিল। তারা সবাই পেশাদার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র (রামদা, চাপাতি) ব্যবহার করে বিভিন্ন জেলায় জুয়েলারি দোকান, মালবাহী ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা ও টার্গেট করা লোকজনদের জিম্মি করে ডাকাতি করে আসছিল। ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন জেলার মহাসড়কে ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে হারুন-অর-রশিদ বলেন, এর আগেও আমরা গাবতলী থেকে কালিয়াকৈর-টাঙ্গাইলে যায় এমন বাসে উঠে যেতে যেতে ও আসতে আসতে ডাকাতি করা চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছি। এখন ওই এলাকায় ডাকাতি বন্ধ হয়েছে। সর্বশেষ আমরা যে ১৬ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছি তারা মূলত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের হাতে কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র আসছে তা জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত দুই মাসে অনেক ডাকাত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীতেও যাদের তৎপরতা ছিল। কিন্তু ডাকাতি বন্ধ হচ্ছে না। পুলিশের টহল বাড়ছে না, গ্রেপ্তারের পর জামিনে বেরিয়ে আবারো ডাকাতিতে জড়াচ্ছে। আসলে সমাধান কি? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি’র গোয়েন্দা প্রধান বলেন, পুলিশের টহল অব্যাহত আছে। ডিবি কাজ করছে। আমাদের টহল টিম ও ডিবি পুলিশ তৎপর আছে বলেই ডাকাতরা গ্রেপ্তার হচ্ছে। পিস্তল, অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে।

জেইউ/জেডএস