সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে বিশিষ্টজনদের শোক
সৈয়দ আবুল মকসুদ
বাংলাদেশের খ্যাতিমান কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ আর নেই। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
স্কয়ার হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগ মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সন্ধ্যা ৬টা ৯ মিনিটে তিনি মারা যান।
বিজ্ঞাপন
সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে বিশিষ্টজনেরা শোক প্রকাশ করেছেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী তার বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবন ও কর্ম নিয়ে সৈয়দ আবুল মকসুদের গবেষণামূলক প্রবন্ধ, কলাম ও পাশাপাশি তার কাব্যচর্চা আমাদেরকে যেভাবে সমৃদ্ধ করেছে, তা কালজয়ী। মন্ত্রী এসময় বাংলা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য সৈয়দ আবুল মকসুদের বাংলা একাডেমি পুরস্কার অর্জনের কথাও সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেন।
বিজ্ঞাপন
সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
মন্ত্রী এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রেলপথ বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বই ও প্রবন্ধ লেখার পাশাপাশি কাব্যচর্চাও করেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।
এক শোকবার্তায় আমির হোসেন আমু বলেন, তার মতো একজন প্রগতিশীল দেশপ্রেমিক নাগরিকের মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। দেশ একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীকে হারালো। মুক্তবুদ্ধি চর্চার মাধ্যমে জাতিকে আলোকিত করতে সৈয়দ আবুল মকসুদের অবদান অবিস্মরণীয়।
তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এক শোকবার্তায় ডিএসসিসি মেয়র বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ সহজাত লেখনীর মাধ্যমে যেমনি আমাদের সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন, তেমনি তার বিশ্লেষণী চিন্তা-চেতনায় প্রতিভাসিত হয়েছে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের জীবনের নানা দিক। জীবনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম নানাবিধ অনুষঙ্গের অন্বেষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে অনন্য উচ্চতায় উন্নীত করেছেন।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, তিনি শুধু সাহিত্য-সংস্কৃতিকেই লালন করেননি, বরং পরম মমতায় ধারণ করেছেন পরিবেশ-প্রতিবেশকে। একটি বাসযোগ্য ধরিত্রী গড়ে তুলতে তার উচ্চকিত ভূমিকা অনুপ্রেরণা জাগানিয়া। তার কলম থেমে যাওয়া জাতির এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার সৃজনশীল ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি প্রজন্মের আলোর দিশারী হয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। মেয়র এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে দেশ একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীকে হারালো। তার মৃত্যু আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে দেশের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে দেশের সাংবাদিকতা ও গবেষণায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ওপর তার গবেষণা গ্রন্থ দেশ বিদেশে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন মানবিক ও মহৎ মনের অধিকারী। আমাদের সকলের প্রিয় বন্ধু সৈয়দ আবুল মকসুদ বহু প্রতিভার জনক। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন।’
শোক বার্তায় তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বিশিষ্ট অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী শোক বার্তায় বলেন, একজন সৎ মানুষ কে হারালো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ হারালো এক বাতিঘর।
সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া। শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে তার চলে যাওয়ায় জাতি অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ল।
পিএসডি/এএসএস/ওএফ