ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, প্রতি ওয়ার্ডেই ন্যূনতম একটি খেলার মাঠ-উদ্যান প্রতিষ্ঠা করা আমাদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু আপনারা জানেন, খেলার মাঠ-উদ্যান প্রতিষ্ঠা ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে সবচেয়ে বড় অন্তরায় জমির অভাব।

বুধবার (২৭ জুলাই) দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসাবো বালুর মাঠে ‘বাসাবো সবুজ বলয়ে’র নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, সবুজ বলয়ের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকবে। আমরা এই বলয়কে কেন্দ্র করে ফিফার মানদণ্ড অনুযায়ী ফুটবল খেলার মাঠ তৈরির ব্যবস্থা করেছি। যেখানে দর্শকদের জন্য বসার জায়গা রাখা হয়েছে। ক্রিকেটের জন্য যেন নেট প্র্যাকটিস করতে পারে সে ব্যবস্থাও আমরা এখানে রেখেছি। তাছাড়া এখানে এসে শিশুরা যেন খেলতে পারে ও অন্য খেলার সাথে তাদের যেন সংঘর্ষ না হয়, সেই ব্যবস্থাও আমরা আলাদাভাবে রেখেছি।

নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেই খেলার মাঠ ও উদ্যান প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হবে জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আজ যে মাঠে আমরা সবুজ বলয়-এর উদ্বোধন করলাম, সেই জমিটি দখল করার জন্য অনেকেই চেষ্টা করছে। কিন্তু এই এলাকার সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী ও আমাদের কাউন্সিলরসহ সকলের দৃঢ়তার জন্যই এই জমিটা রক্ষা করতে পেরেছি বলেই আজ আমরা এই প্রকল্পে হাত দিতে পেরেছি। এই সমস্যাটা কিন্তু প্রত্যেকটা ওয়ার্ডেই রয়েছে। আপনারা জানেন, ঢাকা শহরে একটি ওয়ার্ড আছে, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে খেলাধুলা করার জন্য এক চিলতে জমিও নেই। আমরা সেখানে একটি জমি চিহ্নিত করেছি, ইনশাআল্লাহ সেই জমিটা আমরা দখলমুক্ত করব।

নির্বাচনী ইশতেহারে বর্ণিত অঙ্গীকার পূরণে কাজ করে চলেছি উল্লেখ করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে এ রকম একটি করে উদ্যান-মাঠ যেন রেখে যেতে পারি, খেলার পরিবেশ রেখে যেতে পারি তাহলেই আমাদের সুন্দর ঢাকা বিনির্মাণ হবে। সেলক্ষ্য আমরা কাজ করে চলেছি। এভাবেই ধাপে ধাপে সুন্দর ঢাকা গড়ার দিকে আমরা এগিয়ে যাব।

এর আগে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ৫তলা ভিত্তি বিশিষ্ট মেরাদিয়া কাঁচা ও বিপণি বিতানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির থেকে কালী মন্দির পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণে চলমান কাজ এবং পরে রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের 'শহীদ শামসুন্নেসা আরজু মনি একাডেমিক ভবন' উদ্বোধন ও আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলে চলমান খনন কাজ পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের, কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।

এএসএস/এসকেডি