পদ্ধতি পরিবর্তন করে রাজনৈতিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, পদ্ধতি পরিবর্তন করে রাজনৈতিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে পারলে রাজনৈতিক নেতৃত্বের জন্য বড় অর্জন হবে।  

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) নির্বাচন ভবনে চলমান রাজনৈতিক সংলাপের ১০ম দিনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রাজনৈতিক সিস্টেম পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সিস্টেম ইমপ্রুভ করতে পারলে ইসির তো কাজই করা লাগে না। 

রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা কেন এটা নিয়ে কথা বলছেন না আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন? সিস্টেমটা আপনারা ইমপ্রুভ করতে পারলে তো আমাদের কাজই করা লাগে না। এটা নিয়ে দল হিসেবে আপনারা কেন কথা বলেন না? পদ্ধতি পরিবর্তন করে রাজনৈতিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনা গেলে সেটা রাজনৈতিক নেতৃত্বের বড় অর্জন হবে। আপনারা একটি সিস্টেম দাঁড় করিয়ে দেন, সেটা নিশ্চিত করবে সঠিক নির্বাচন। চলমান পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনতে পারলে শুধু আমরা নয় ভবিষ্যৎ ইসিকেও পরিশ্রম করতে হবে না।  

তিনি বলেন, আপনারা অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন। আপনারা রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং পরিবেশ নির্বাচনের অনুকূল করে দিতে পারলে আমাদের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠান অনেক সহজ হবে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে ভোটের দেড় বছর আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে ইসি। এ লক্ষ্যে ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় থাকা বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি সমমনা দল ইসির এ সংলাপ বর্জন করেছে।

১০ম দিনে ৩৬টি দলের সঙ্গে সংলাপ হওয়ার কথা থাকলেও সর্বশেষ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি  ‘না’ করে দেওয়ায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সংলাপে অংশ নেওয়া দলের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৬টি। সংলাপ বর্জন করেছে ৯টি রাজনৈতিক দল। এছাড়া ২টি  দল সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছে। এরপর আরও ২টি দলের সঙ্গে ইসির সংলাপে বসার কথা রয়েছে, যা চলবে এ মাসের শেষ দিন পর্যন্ত।

এসআর/এসকেডি