আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ও তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। তারা অনতিবিলম্বে গ্রাহকদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৩টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান আলেশা মার্ট কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশন ও আলেশা মার্ট বিক্ষোভ ও আন্দোলনের গ্রুপের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, ই-কমাসে অর্ডারকারী ৯০ শতাংশ গ্রাহক ছাত্রজনতা। আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান খুবই সুনিপুণভাবে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের কষ্টের টাকাগুলো আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন। তিনি ৩৪ বার ফেসবুক লাইভে এসে কেবল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সময়ক্ষেপণ করেছেন। কিন্তু গ্রাহকের কোনো লাভ হয়নি। আলেশা মার্ট চেয়ারম্যান এক বছর সময় পেয়েও গ্রাহকদের মিথ্যা আশ্বাস ছাড়া কিছুই দিতে পারেননি। এছাড়াও ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন সময় গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরও নিষ্ক্রিয়তা পর্যবেক্ষণ করেছি।

আরও পড়ুন: আলেশা মার্টের টাকা ফেরত পেতে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা

তিনি আরও বলেন, গ্রাহকরা বিগত ১৩ মাসে পণ্য বা রিফান্ড কোনোটাই না পাওয়ায় আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারকে আইনের আওতায় আনা ও বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাসহ ভুক্তভোগীদের বকেয়া পরিশোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দাবি আদায় না হলে কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তারা সাত দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো— 

১. অনতিবিলম্বে মূল টাকা ফেরত দিতে হবে।

২. অনতিবিলম্বে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশগমন নিষিদ্ধ করতে হবে।

৩. তারা যদি বিদেশে পালিয়ে যায় সেক্ষেত্রে গ্রাহকদের সব দায়দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট মহলকে নিতে হবে।

৪. যত দ্রুত সম্ভব মেয়াদোত্তীর্ণ চেক রিপ্লেস করতে হবে।

৫. বন্ধ কল সেন্টার চালু করে গ্রাহক সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে।

৬. বর্তমান করুণ অবস্থা বিবেচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট মহলকে এক হয়ে একটি কমিটি করতে হবে। যে কমিটি মঞ্জুর আলম শিকদারকে বাধ্য করবেন গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করতে। আর যদি চাপ প্রয়োগে কাজ না হয় সেক্ষেত্রে ওই কমিটি চেয়ারম্যানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে গ্রাহকের দেনা পরিশোধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে। কারণ ইতোমধ্যে মঞ্জুর আলম শিকদার বিভিন্ন সময় লাইভে এসে বলেছেন তার দেনার চেয়ে বেশি সম্পদ আছে। তার সম্পদ থাকলে গ্রাহকের দেনা পরিশোধে গড়িমসি কেন?

৭. মঞ্জুর আলম শিকদার যদি সত্যি গ্রাহকের টাকা পরিশোধে আগ্রহী হন তবে সেটি অবশ্যই গ্রাহক তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে হতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আলেশা মার্ট কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশন এবং আলেশা মার্ট বিক্ষোভ ও আন্দোলনের গ্রুপের প্রতিনিধি আশরাফুল আলম, ঈমন হাসান, ফরহাদ আলী ও বিপ্লবসহ ভুক্তভোগী সদস্যরা।

আইবি/এসএসএইচ