সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আলেশা মার্ট চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদার 

আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট গ্রাহকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদার। 

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। 

অনুষ্ঠানে এসএসএল কমার্স পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা আলেশা মার্টের ১০ গ্রাহকের ২৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা হস্তান্তর করা হয়। 

মঞ্জুরুল আলম শিকদার বলেন, জুনের মধ্যে আমাদের সমস্ত টাকা ক্লিন (পরিশোধ) হয়ে যাবে। রমজান এবং করোনার জন্য দুই-চার-পাঁচ দিন এদিক-ওদিক হতে পারে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য ৩০ জুনের মধ্যে শতভাগ ক্লিন করা। 

আলেশা মার্টের কাছে ৭ থেকে ৮ হাজার গ্রাহক টাকা পান বলেও জানান তিনি। চেয়ারম্যান আরও জানান, গ্রাহকদের এ টাকা ফেরত দিতে ২৩০ কোটি টাকা ম্যানেজ করতে হবে। 

তিনি বলেন, ২৩০ কোটি টাকা কোনো না কোনোভাবে ম্যানেজ করতে হবে। আশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যেই আমরা এর সমাধান করে ফেলতে পারব। আশা করছি আমরা ওভারকাম করব, এ দেশে ওভারকাম করতেই হবে। 

শুধু গ্রেফতার করা কখনোই সমাধান হতে পারে না বলেও এসময় মন্তব্য করেন আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা যদি ভুল করে থাকে, সেও মানুষ; তাকে ব্যবসায়িক ওয়েতে সুযোগ দেওয়া উচিত। আইনের আওতায় তখনই যেতে পারে, যখন সে অপরাধ করে। যেমন মানি লন্ডারিং ইস্যু। এটা গ্রহণ করা যায় না। এসব রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর।

চেয়ারম্যান বলেন, আমার টাকা যদি আপনার পকেটেও গিয়ে থাকে, মূল অর্থনীতিতে তো আছে। পলিসিগত ভুলের কারণে হয়তো একজনের টাকা আরেকজনের কাছে চলে গেছে। পলিসি ভুল এক জিনিস, মানি লন্ডারিং অন্য জিনিস। 

তিনি আরও বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে একভাগও ছাড় দেওয়া যাবে না, যে আমাদের দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে মানি লন্ডারিং করে। কিন্তু টাকা দেশের মধ্যে থাকলে, ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা ভালো যুক্তি হতে পারে না। আমি মনে করি আইনগতভাবে সহায়তা করে তাদের সুষ্ঠু ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া উচিত, ভুলগুলোকে শুধরে দেওয়ার জন্য সুযোগ দেওয়া উচিত।  

এসএইচআর/আরএইচ