চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং

বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ অব্যাহতভাবে ‘এক চীন নীতি’ মেনে চলবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। পাশাপা‌শি তাইওয়ান প্রশ্নে চীনের আইনসম্মত ও ন্যায্য অবস্থান বুঝবে এবং সমর্থন করবে ঢাকা- এমনটাই মনে করেন রাষ্ট্রদূত।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর স্পিকার ন্যান্সি পোলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট চীন-মার্কিন উত্তেজনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এমন আশা প্রকাশ করেন লি জিমিং।

চীনা রাষ্ট্রদূত ব‌লেন, চীন বিশ্বাস করে, এ অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে কাজ করবে ঢাকা।

>> চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা কেন?

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীন ভালো প্রতিবেশী, বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু এবং নির্ভরযোগ্য অংশীদার। সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার মতো মৌলিক স্বার্থের বিষয়ে উভয় দেশ সবসময় একে অপরকে বোঝে এবং সমর্থন করে। ‘ওয়ান-চায়না’ নীতি ও তাইওয়ানের স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থান নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি সন্তুষ্টি জানায় চীন।

লি জি‌মিং ব‌লেন, স্পিকার পেলোসির এই সফর তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে। পাশাপাশি এটি এ অঞ্চলে উদ্বেগ ও সংঘাত ডেকে আনতে পারে। এর ফলে বিশ্ব আরও অনিশ্চিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে।

>> তাইওয়ান প্রণালীতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ছে চীন

বিবৃতিতে চীনা রাষ্ট্রদূত পেলোসির তাইওয়ান সফরকে এক চীন নীতি এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি যৌথ ইশতেহারের ধারার গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেন।

চীনের কড়া হুঁশিয়ারির পরও ২ আগস্ট রাতে তাইওয়ানে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।

এনআই/ওএফ