নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়রের পিএস সাগর খাঁনকে (২০) চট্টগ্রাম থেকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম। 

তিনি বলেন, ৩০ জুলাই নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র মো. আলাউদ্দিনের পরিবারসহ পিএস মো. সাগর খাঁন তার আত্মীয় স্বজন ও এলাকার লোকজন নিয়ে ভ্রমণের উদ্দেশে কক্সবাজার যান। কক্সবাজার ভ্রমণ শেষে তারা নেত্রকোণার উদ্দেশে রওনা করেন ৩ আগস্ট।

ফেরার পথে সেদিন রাত সাড়ে দশটার দিকে তাদের বহনকারী বাসটি বাকলিয়ার তুলাতলী মোড় এলাকায়  পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা আসামিরা চলাচলের রাস্তায় কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করে থামিয়ে দেন। এরপর বাসটি থামিয়ে বাসের যাত্রী মেয়রের পিএস সাগর খাঁনের খোঁজ করতে থাকেন। 

ওই সময় মেয়রের পিএস সাগর খাঁন নিজের পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গেঞ্জি ধরে তাকে বাস থেকে টেনে-হিঁচড়ে মারধর করতে করতে গাড়ি থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সাগরের চিৎকারে গাড়িতে থাকা অন্যান্য যাত্রীরা এগিয়ে এসে আসামিদের বাধা দেন এবং একজনকে আটক করেন।

এরপর ঘটনাটি তারা বাকলিয়া থানাকে জানান। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযোগকারী ও বাসের অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এবং ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। পরে এ ঘটনায় সাগর খাঁন ৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। 

বাকলিয়া থানার ওসি বলেন, মামলা দায়েরের পর বাকলিয়া থানা পুলিশ চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন স্থানে বাদীকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। বাদীর শনাক্ত মতে ঘটনায় জড়িত আসামি শাহীন, মিনহাজ, আরাফাত ও রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

তিনি আরও বলেন, আধিপত্য বা পূর্বশত্রুতার জের ধরে সাগর খাঁনকে অপহরণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ঘটনার দিন তাদের ভাড়া করে আনা হয়েছিল। তাদের কেউ একজন নিযুক্ত করেছিল। ঘটনার সময় ১০ থেকে ১২ জন ছিল। বাকিদের ও গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা চলছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। 

কেএম/আরএইচ