দীর্ঘ চার বছর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নতুন ক‌রে মালয়েশিয়ায় পৌঁ‌ছে‌ছেন ৫৩ জন বাংলাদেশি কর্মী। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) ভোর ৫টা ২২ মিনিটে এয়োর এশিয়ার একটি ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তারা।

এ সময় মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে তাদের স্বাগত জানান। হাইকমিশনার ছাড়াও হাইক‌মিশ‌নের শ্রম উইংয়ের মিনিস্টার নাজমুস সাদাত সেলিমসহ মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

হাইক‌মিশন জানায়, মাল‌য়ে‌শিয়া যাওয়া এসব বাংলা‌দে‌শি কর্মী দেশ‌টির সরকারের নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী প্রতিমাসে অন্তত পক্ষে দেড় হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত অর্থাৎ বাংলাদেশি প্রায় ৩৭ হাজার টাকা বেতন পাবেন। এছাড়া তারা মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ওভার টাইম, বিনামূল্যে বাসস্থান, স্বাস্থ্য বিমা, কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত বিমাসহ অন্যান্য সব সুবিধা পা‌বেন।

দীর্ঘ চার বছর পর মালয়েশিয়ার নতুন করে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ শুরু হওয়াতে হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ারে সন্তোষ প্রকাশ ক‌রেন। হাইক‌মিশনার বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।  

হাইক‌মিশন বল‌ছে, আশা করা হচ্ছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের প্রায় পাঁচ লা‌খের বে‌শি নতুন লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং এ‌তে ক‌রে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশের প্রেরিত মোট রেমিট্যান্স তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে ৫৩ জন কর্মীর প্রথম দলটি সোমবার (৮ আগস্ট) রা‌তে ঢাকা থে‌কে কুয়ালালামপু‌রের উদ্দেশে যাত্রা ক‌রে‌।

বিএমইটি জানায়, গত বছ‌রের ১৯ ডি‌সেম্বর কর্মী প্রের‌ণে মাল‌য়ে‌শিয়ার স‌ঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স সিমপ্লেক্স ইন্টারন্যাশনাল (আরএল ১০২২) মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৩২৫ জন কর্মীর নিয়োগানুমতি প্রদান করা হয়। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত ১৯টি রিত্রুটিং এজেন্সিকে মোট ৩ হাজার ২২ জন কর্মী নিয়োগের অনুম‌তি প্রদান ক‌রে।

অনু‌মোদন পাওয়া রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল (আর এল ০৫৪৯) মালয়েশিয়ার জিমাট জয়া এস‌ডিএন বিএইচডি কোম্পানিতে নিয়োগনুমতি প্রাপ্ত ১১০ জন কর্মীর মধ্যে ৫৩ জন কর্মীর বহির্গমন ছাড়পত্রের জন্য গতকাল রোববার আবেদন করলে ৫৩ কর্মীকে বিএমইটি কর্তৃক বহির্গমন ছাড়পত্র/স্মার্টকার্ড ইস্যু করা হয়।

বিএমইটি জানায়, ২০১৩ সালে জিটুজি পদ্ধতিতে এবং পরবর্তীতে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে প্রায় আড়াই লাখ কর্মী মালয়েশিয়া গমন করেন। ২০১৯ সাল থেকে মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণ বন্ধ ছিল। 

এনআই/এসকেডি