সম্প্রতি মারধরের শিকার হওয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক এ কে এম সাজ্জাদ হোসেন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাতে ডিএমপির শাহবাগ থানায় জিডি করেন তিনি। পাশাপাশি বুধবার (১০ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পরিচালক বরাবর ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

থানায় জিডি ও পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

শাহবাগ থানা পুলিশ বলছে, ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ ও সংশ্লিষ্ট এলাকার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গত সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ চিকিৎসক সাজ্জাদের।

জিডির তথ্যানুযায়ী, চিকিৎসক সাজ্জাদকে মারধরকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোগো সংবলিত টি-শার্ট পরা ছিলেন। তারা নিজেদের ঢাবি শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিয়েছেন। চিনতে না পারায় মারধরকারীদের কারও নাম জিডিতে উল্লেখ করেননি সাজ্জাদ।

যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভুক্তভোগী ইন্টার্ন চিকিৎসক আজ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি কঠোরভাবে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রমনা বিভাগ পুলিশকে অবহিত করেছি। শাহবাগ থানা পুলিশ বিষয়টি অবগত। সেখানে একটি জিডিও হয়েছে। আমরা চাই এটার সঠিক তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তদন্তে ঢাবি ও পুলিশ কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার অপেক্ষা আছি।

যোগাযোগ করা হলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক মারধরের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা চিকিৎসক মারধরে জড়িতদের খুঁজছি। সম্ভাব্য ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। তা বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী জানিয়েছেন, চিকিৎসক মারধরে ঢাবির কোনো শিক্ষার্থী জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বলা হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দোষীদের শনাক্ত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে তারা লাগাতার কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচিতে বাধ্য হবে।

জেইউ/জেডএস