গত ১-৭ আগস্ট বুলগেরিয়ায় আন্তর্জাতিক গণিত প্রতিযোগিতা (আইএমসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিযোগিতায় সেরা সব মেধাবীদের পেছনে ফেলে গ্র্যান্ড গ্র্যান্ড ফার্স্ট প্রাইজসহ ৫টি পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশি পাঁচ শিক্ষার্থী।

এর আগে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিত। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে এই প্রথম বাংলাদেশের পাঁচ শিক্ষার্থী অনলাইন প্লাটফর্মে অংশ নেন।

বাংলাদেশ গণিত সমিতি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণিতের ওপর দক্ষতা যাচাইয়ে বিশ্বব্যাপী আয়োজিত এই বার্ষিক প্রতিযোগিতা সব স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। এ বছর ২৯তম আন্তর্জাতিক গণিত প্রতিযোগিতার আসরে বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশ অনলাইন/অফলাইন প্লাটফর্মে অংশ নেয়।

বাংলাদেশ এবারই প্রথম অনলাইন প্লাটফর্মে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। এ বছর ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে (ইউসিএল) প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে। আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন বুলগেরিয়ার তত্ত্বাবধানে বুলগেরিয়ায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের স্কোর ও মেধাক্রম হলো-

- সাব্বির রহমান, চতুর্থ বর্ষ, কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। স্কোর : ৫৭,  মেধাক্রম : ৫২-৫৩, প্রথম পুরস্কার।
- অন্তনি রায় চৌধুরী, দ্বিতীয় বর্ষ, গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। স্কোর : ৪৮,  মেধাক্রম : ৮৮-৯১, প্রথম পুরস্কার।
- মেহেদী হাসান নওশেদ, তৃতীয় বর্ষ, গণিত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। স্কোর : ৪৮,  মেধাক্রম : ৮৮-৯১, প্রথম পুরস্কার।
- জুবায়ের রহমান, চতুর্থ বর্ষ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। স্কোর : ৪০,  মেধাক্রম : ১৫২-১৬০, প্রথম পুরস্কার।
- মো. হাসান কিবরিয়া, চতুর্থ বর্ষ, গণিত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। স্কোর : ৩১, মেধাক্রম : ২৬১-২৭৪, দ্বিতীয় পুরস্কার।

গণিত সমিতির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশ দলের সম্মিলিত স্কোর : ১৯৭ দশমিক ৮০। বাংলাদেশের দলগত মেধাক্রম : ১০। এই প্রতিযোগিতায় ইসরাইলের দলগত মেধাক্রম : ১ ও রাশিয়া : ৪।

গণিতের ওপর মেধা যাচাইয়ে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করা হয়। এতে বীজগণিত, বাস্তব ও জটিল বিশ্লেষণ, জ্যামিতি ও কমভিনেটরি থেকে প্রশ্ন করা হয়।

এমএইচএস