ফাইল ছবি

‘জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নীতির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।  

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘দেশীয় কাঁচামাল ও সম্পদের সুষম ব্যবহার করে শিল্পায়নের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা ধারণ করে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করাসহ খাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে উৎপাদিত পণ্যের গুণগতমানের উৎকর্ষ সাধনের জন্য শিল্পনীতি ২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এই নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শিল্পনীতি ২০২২ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে একটা আধুনিক আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগী সক্ষম শিল্প পণ্য উৎপাদনের শক্তিশালী ভীত তৈরি হবে।’

শিল্পনীতিতে ২০টি অধ্যায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি রপ্তানিমুখী শিল্পের উন্নয়ন ও বহুমুখীকরণ, সেবাখাতের উন্নয়ন, আইসিটিভিত্তিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং বিদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

শিল্পখাতের অবকাঠামো শক্তিশালী করতে, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বেসরকারি বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য অবকাঠামোগত বাধা দূর করাসহ মানবসম্পদ উন্নয়নে নীতিমালাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এসএইচআর/জেডএস