বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (সিএএবি) কোয়ার্টারের ভবন রক্ষণাবেক্ষণ কাজে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। 

রাজধানীর খিলক্ষেতের কাওলা আমবাগান এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের দুইটি ভবন রক্ষণাবেক্ষণে আড়াই কোটি টাকার কাজে নয়ছয়ের ওই অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।

দুদকের হটলাইনে (১০৬) অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংস্থাটির  মহাপরিচালক ( এনফোর্সমেন্ট ইউনিট) জিয়াউদ্দীন আহমেদ সই করা এমন চিঠি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে।  

আরও পড়ুন : পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ রাশেদুলের বিরুদ্ধে সম্পদের মামলা

শনিবার (১৩ আগস্ট)  দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গত ১ আগস্ট পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম এবং ঠিকাদার রাফাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে ইমেইলে কমিশনকে অবহিত করারও অনুরোধ করা হয়েছে।  

আরও পড়ুন : ওসি মনিরুলের সম্পদের অনুসন্ধান আবেদন নিয়ে দুদকে ব্যারিস্টার সুমন

অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর খিলক্ষেতের কাওলা আমবাগান এলাকায় বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির কোয়ার্টারের দুইটি ভবন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। ভবন দুটি হলো ই-১ ও ই-২। আর অভিযোগ বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম এবং ঠিকাদার রাফাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা টেন্ডার সিডিউল অনুযায়ী কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করেননি।  যথাযথভাবে কাজ সম্পন্ন না করে জালিয়াতির মাধ্যমে বরাদ্দের টাকা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।  

আরএম/এনএফ