আপিল ট্রাইব্যুনালসহ দশটি শ্রম আদালতে ২৪ হাজার ৯০৯টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকার তিনটি আদালতেই  ২১ হাজার ২০৯টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. আকতারুল ইসলাম।
 
শ্রম আদালতের ১০ বিচারককে নিয়ে শনিবার (১৩ আগস্ট) আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এ তথ্য জানান বলে রোববার (১৪ আগস্ট) জানানো হয়। ‘স্টাবলিশ পাইলট প্রসেস টু ক্লাসিফাই কেসেস ইন কনসালটেশন উইথ দ্যা জাজেস অব দ্যা লেবার কোর্টস উইথ আ ভিউ টু এড্রেসিং কেস ব্যাকলগস’ শিরোনামে প্রথমবারের মতো এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

আকতারুল ইসলাম শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, নিরুপায় হয়েই শ্রমিকরা শ্রম আদালতে মামলা করেন। অসহায় এসব শ্রমিকদের মামলা ফেলে রাখবেন না। শ্রমিকদের করা পাওনা আদায়ের মামলা দিনের পর দিন ডেট পড়লে শ্রমিকরা পেটের তাগিদে মামলার পেছনে আর হাঁটে না। ফলে শ্রমিকরা তার পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়। ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। তখন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় না।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সেলিনা আকতার এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মাইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. টুমো পোটিআইনেন বক্তৃতা করেন। 

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. ফারুক।

এসআর/জেডএস