রাজধানীর চকবাজারের কামালবাগ এলাকার ঢাকা প্লাস্টিক নামে একটি চারতলা বিশিষ্ট ভবনের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ছয় হোটেল কর্মীর মরদেহের ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। এছাড়া মরদেহগুলো আজই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুর থেকে ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দুপুর ১টার পর থেকে চকবাজারের অগ্নিদুর্ঘটনায় নিহত ছয় মরদেহের ময়নাতদন্ত শুরু করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এছাড়া সিআইডির ফরেনসিক টিম কিছুক্ষণের মধ্যেই মর্গে এসে পৌঁছাবে। তারা এলেই ময়নাতদন্তের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

মরদেহ স্বজনদের কাছে আজ হস্তান্তর করা হতে পারে জানিয়ে শরিফুল ইসলাম বলেন, মরদেহের পরিচয় ইতোমধ্যে ছয় পরিবারের লোকজন শনাক্ত এসেছে। তাই মরদেহগুলো আজ বিকেলের পরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। তবে মরদেহ হস্তান্তর করার আগে অবশ্যই পরিবারের লোকজনের ও মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী আমাদেরকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: ঘুমন্ত অবস্থায় ৬ জনের মৃত্যু, ডিএনএ পরীক্ষা শেষে মরদেহ হস্তান্তর

এর আগে সোমবার (১৫ আগস্ট) ডিএমপির লালবাগ বিভাগের ডিসি মো. জাফর হোসেন বলেন, চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মরদেহগুলো আগুনে এমনভাবে পুড়েছে যে তাদের চেহারা দেখে শনাক্ত করার কোনো উপায় নেই। তাই পরিবারের লোকজন এখন কোনো মরদেহ দাবি করলে আমরা তাদের হাতে তা বুঝিয়ে দিতে পারব না। উদ্ধার করা মরদেহগুলো মিডফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।‌

এদিকে চকবাজারে কামালবাগের আগুনে যে ছয় জনের মরদেহ পাওয়া গেছে, তাদের পরিচয় জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা হলেন— ওহাব আলী ওসমান (২৫), বেল্লাল সরদার (৩৫), স্বপন সরকার (১৮), মোতালেব (১৬), শরীফের (১৬) ও রুবেল (২৮)।

আরও পড়ুন: চকবাজারে অগ্নিকাণ্ড : হোটেল মালিক গ্রেপ্তার

সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে চকবাজারে পলিথিন কারখানায় লাগে। দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুন লাগা ভবনের নিচতলায় থাকা বরিশাল হোটেলের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে দাবি করেছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। তারা বলেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন শুরুতে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারে যায়। সেখানে আরেক দফা বিস্ফোরণের পর কারখানায় আগুন লাগে।

অন্যদিকে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যদের কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস।

এমএসি/এসএসএইচ