বিক্ষোভের সময় কয়েকটি গাড়ির কাচ ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা

সাড়ে ৪ ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। 

এরআগে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে জঙ্গল সলিমপুর ও আলিনগরের বাসিন্দারা। বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় অবৈধ বসতি উচ্ছেদে প্রশাসনের অভিযানের প্রতিবাদ ও বিচ্ছিন্ন করা বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।

আজ (মঙ্গলবার) দুপুর ১টার দিকে মহাসড়কের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। এতে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়ে যায়। পরে সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে এবং টিয়ারশেল ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল মারেন বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থেকে দুর্ভোগে পড়েন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও রোগীরা।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জঙ্গল সলিমপুর ও আলিনগরের কিছু মানুষ বিদ্যুৎতের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিল। প্রথমে তাদের বুঝিয়ে সরে যেতে বলি। এর মধ্যে বিকেলের দিকে জঙ্গল সলিমপুরের কিছু মানুষ সরে যায়। কিন্তু আলিনগরের সন্ত্রাসীবাহিনীর কিছু সদস্যের প্ররোচনায় কিছু মানুষ রাস্তায় থেকে যায়। পরে পুলিশ তাদের বলপ্রয়োগ করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। 

তিনি বলেন, এ সময় দুই-তিনটি গাড়ির কাচ ভাঙচুর করেছেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে তারা গ্রামে ঢুকে যায়। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে।

সম্প্রতি জঙ্গল সলিমপুরে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে সেখানে সরকারি স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সরকারি খাস জমিতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, স্পোর্টস ভিলেজ, ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আইকনিক মসজিদ, নাইট সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা করার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জঙ্গল সলিমপুর এলাকার বিভিন্ন অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এরপর সরকারের মন্ত্রী এবং উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা সেখানকার খাস জমি পরিদর্শন করেন। 

এর ধারাবাহিকতায় ২০ আগস্টের মধ্যে দখল করা খাস জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

কেএম/এনএফ