ব্যাটারিচালিত যানবাহন ও গ্যারেজের ট্রেড লাইসেন্সের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন। এ সময় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি। 

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি। মিছিল নিয়ে স্মারকলিপি দিতে যেতে চাইলে পুলিশি বাধায় পড়েন তারা। পরে তাদের প্রতিনিধিদল গিয়ে মেয়রের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, রিকশা একটি পরিবেশবান্ধব বাহন। দেশের লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মানুষের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। রিকশা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বাহন বলে গর্ব করে থাকি। অথচ রিকশা চালকদের অমানবিক পরিশ্রম ও কষ্ট লাঘবে রাষ্ট্র থেকে শুরু করে সচেতন নাগরিক মহল, কাউকেই তেমন কিছু করতে দেখা যায় না। 

তিনি আরও বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা সরকারকে রাজস্ব দিতে চায়। আমাদের দাবি একটি বিধিমালার মাধ্যমে লাইসেন্স প্রদান করা হোক। রিকশাকে আরও আধুনিয়কায়ন করে লাইসেন্স প্রদানসহ একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থার মধ্য দেয়ে রাস্তায়ে চলাচলের জন্য অনুমতি দেওয়া হোক। ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক আটক বন্ধ রাখা হোক।

এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো

১. গ্যারেজের বিদ্যুতের মিটার সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযান বন্ধ করে, বিচ্ছিন্নকৃত সংযোগ পুনরায় চালু করতে হবে। 

২. গ্যারেজের ট্রেড লাইসেন্স দিতে হবে।

৩. অন্যান্য গণপরিবহনের মতো রিকশা চলাচলে রুট পারমিট প্রদান ও সড়কে সার্ভিস লেন চালু করতে হবে।

৪. সব এলাকায় রিকশা ভ্যান, মিশুক ও ইজি বাইক স্ট্যান্ড চালু করতে হবে।

৫. বিভিন্ন রাস্তায় রিকশা-ভ্যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।

৬.  ব্যাটারিচালিত যানবাহনের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত নীতিমালা চূড়ান্ত করে বিআরটিএ লাইসেন্স প্রদানের পূর্ব পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়নে চলাচলের অনুমতি প্রদান করতে হবে। 

আইবি/এমএ