আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপনের ইচ্ছা আছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে (অব.) আহসান হাবিব খান।

বুধবার (৩১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।  

সংসদ নির্বাচনে সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে এ কমিশনার বলেন, সিসি ক্যামেরা পাইলট হিসেবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন ও পাঁচ পৌরসভা নির্বাচনে ব্যবহার করে ভালো সাড়া পেয়েছি। কুসিকের চারটা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে যখন কথা উঠল, তখন সিসি ক্যামেরা বলেছে কখন কেন্দ্র থেকে ভোটের ফলাফল প্রিন্ট নেওয়া হয়েছে। ফুটেজ দেখেই ১২ জনকে গ্রেপ্তার করছি। কাজেই এটা রাখার ইচ্ছা আছে আমাদের।

তিনি বলেন, আসন্ন গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনেও সিসি ক্যামেরা থাকবে। পরবর্তী সিটি নির্বাচনেও ক্যামেরা থাকবে। আমাদের ইচ্ছা আছে সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই সিসি ক্যামেরা বসানোর। এতে বিশাল অর্থের প্রয়োজন হবে। এতো আসনে সাপোর্ট দেওয়ার মতো কোনো প্রতিষ্ঠান আছে কি-না, সেটাও দেখা হচ্ছে। আন্তরিক ইচ্ছা আছে আমাদের। এটার জন্য আমরা একটা বাজেটও রাখব।

জামায়াত ইসলামের নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলাম আদালতের রায়ে নিবন্ধন হারিয়েছে। তাই দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যেভাবে দাঁড়ায়, যে শর্তগুলো আছে, সেগুলো পূরণ করলে যে কেউ দাঁড়াতে পারবে। সে নিয়ম অনুযায়ীই চলবে। ঢালাও বলতে পারব না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, কোনো অনিয়ম হলে ছবি তোলে পাঠান। সাহায্য করেন আমাদের। কাজ কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী, দেখিয়ে দেব।

এসআর/এসকেডি